জিয়াউল হক জিয়া, কুলাউড়া : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার সাবেক এমপি মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য, মরহুম আব্দুল জব্বার একুশে পদকের (মরণোত্তর) জন্য মনোনীত হয়েছেন। ২০২০ সালের বিভিন্ন বিভাগে একুশে পদক পাওয়া ২০ জনের মধ্যে তিনিও একজন।
বুধবার ৫ ফেব্রæয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে আব্দুল জব্বারকে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হচ্ছে বলে জানান।
মরহুম আব্দুল জব্বারের পুত্র, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম বলেন, মরহুম আব্দুল জব্বার ’৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬ দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন ও ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও রণাঙ্গণের যোদ্ধা এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এছাড়া তিনি কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সভাপতির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ঘাতক নির্মূল কমিটি, কুলাউড়া থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (১৯৬৪) ছিলেন। আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ও তার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন উপেক্ষা করে বাংলার গণমানুষের মুক্তির জন্য কাজ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর প্রতিবাদ করার কারণে তিনি দুইবার কারারুদ্ধ ছিলেন।
প্রথমবার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পূনরায় সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে পুনরায় কোরবানি ঈদের রাতে গ্রেপ্তার হন। জেলের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রধান খুনি মেজর নুর অমানুষিক নির্যাতন করে এবং হত্যার জন্য উদ্ধৃত হয়। সেই সময় তৎকালীন সেনা অফিসার, পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত প্রয়াত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরী তাঁকে উদ্ধার করেন।
জাতির এ সূর্য সন্তান শোকের মাস আগস্টে ১৯৯২ সালের ২৮ আগস্ট মাত্র ৪৭ (১৯৪৫-১৯৯২) বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
Posted ১০:০৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad