কুলাউড়া প্রতিনিধি :- কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সুলেমান (১৩) হত্যাকান্ডের ১৩দিন ও ভুকশিমইল ইউনিয়নে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা অনিক মিয়া (১০) হত্যাকান্ডের একমাস অতিবাহিত হলেও মুল আসামীরা রয়ে গেছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পুর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত বাজিদ আলীর পুত্র কিশোর সুলেমান গত ০৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির উত্তর পাশে একটা বটগাছের নিচে বসা ছিলো। এসময় লোক মারফত একই গ্রামের আনু মিয়ার মেয়ে আসলিমা বেগম (১৮) বাড়িতে ডেকে নেয় নিহত সুলেমানকে। বাড়িতে যাওয়ার পর আনু মিয়ার ছেলে রেদোয়ান মিয়ার নেতৃত্বে সুলেমানকে তাদের ঘরের ভেতরে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে মারপিট করা হয়। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক মিয়াসহ আরও লোকজন এসে সুলেমানকে মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পরদিন ০৭ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯টায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলেমানের মৃত্যু হয়।
এদিকে ০৮ সেপ্টেম্বর রোববার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুলাউড়া থানা পুলিশ ৩ জনকে আটক করে। কিন্তু মুল আসামী আনু মিয়ার ছেলে রেদোয়ান মিয়া ঘটনার পর থেকে রয়েছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে, ভুকশিমইল ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কমর উদ্দিনের ছেলেরা ২১ আগস্ট বুধবার রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় কমর উদ্দিনের ছেলে শিবলু (২২) বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে বের হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শিবলু হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তার ভাই ইলাই মিয়ার ১০ বছরের শিশুপুত্র অনিক মিয়ার তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু অনিকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ঘাতক শিবলু পালিয়ে যায়। অদ্যাবধি কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ।
কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী জানান, আসামী গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে। যত দ্রুত সম্ভব আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad