কুলাউড়া প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্যাতনের পর অর্ধনগ্ন করে ছবি তোলার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁর ছেলে পলাতক রয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীর ফুফু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে আটক করা হয়।
মামলার বাদী আমিনা আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী ফারজানাকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি প্রদানে দেরি করার কারণ জিজ্ঞাসা করতে তাঁর ছেলে জাকারিয়াকে দিয়ে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এসয় প্রধান শিক্ষক অফিসের দরজা বন্ধ করে তাঁর বাড়ি থেকে আনা জালি বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে ছাত্রীর পিঠে ও হাতের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়।
এরপর বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর স্কুল ছাত্রীর পিঠের জখম দেখার কথা বলে তার পরনের কামিজ খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং তার ছেলে জাকারিয়াকে দিয়ে কয়েকটি আপত্তিকর ছবি তুলেন। ছবি তোলার পর একথা কাউকে বললে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এদিকে নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর ফুফু আমিনা আক্তার শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় কুলাউড়া থানায় রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলী ও তাঁর ছেলে মো. জাকারিয়াকে আসামী করে মামলা ( নং ১০) দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেই পুলিশ বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলী গ্রেফতার করা হয়। রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। অপর আসামী মো. জাকারিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আইয়ুর উদ্দিন জানান, পূর্বে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ এলে সহকারি শিক্ষা অফিসার ঘটনার তদন্ত করেন। তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
Posted ১১:১৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad