তাহিরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি, সমকাল ও সুনামগঞ্জের খবর প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করলেন মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী।
জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নাধীন দুধের আউটা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সুনামগঞ্জে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা দায়ের করেণ। মামলার পরপরই তাহিরপুর প্রেসক্লাবে জরুরী সভায় সাংবাদিকরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেণ।
প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামীলীগ করে আসছেন। তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দুইবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন(১৯৮৮-১৯৯০,১৯৯০-২০১)।
২০০৩ সালে গঠিত তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতেও তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছেন। জন্মসনদ ও এএসসি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী তাঁর জন্ম তারিখ পহেলা আগস্ট ১৯৭১ সাল। ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী হানাদারের বিরুদ্ধে যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন তার বয়স ছিল ৫ মাস। তাই মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি অবান্তর ও উদ্যেশ্য প্রনোদিত এবং হয়রানীমূলক।
এছাড়াও এরকম মিথ্যা মামলা যুদ্বাপরাধীর মামলা নিয়ে তামাশা করার পিছনে কে ইন্ধনদাতা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন অনেক জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকীয়তে।
এসব বিষয়ের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলেও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংগটনের জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসব আলোচনা সমালোচনার প্রেক্ষিতে গত ২ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী তার মেয়ে ফোক শিল্পী সুফিয়া আনাছসহ আমল গ্রহন কারী জুডিসয়িাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে মামলার নথি উপস্থাপন করে সাংবাদিক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি তথ্যগত ভুল সংযোজিত হওয়ায় বিনা বিচারে প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
এবষিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী বলেন আমি লেখাপড়া না জানা একজন গরীব মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে ভূল তথ্যদিয়ে একটি পক্ষ মামলাটি করিয়েছে। আমি পরবর্তীতে সব কিছু বুজতে পেরে আমার মেয়েকে নিয়ে আদালতে এসে মামলাটি বিনা বিচারে প্রত্যাহারের আবেদন করি ।
মুক্তিযোদ্বা সুজাফর আলীর মেয়ে ফোক শিল্পী সুফিয়া আনাছ বলেন, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা তাহিরপুরে শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিল যার পরিবারে রাজাকারদের তালিকায় এখনো ৫জনের নাম রয়েছে সেই মূখোশধারী আওয়ামীলীগ এর দায়িত্বশীল ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্ঠায় আমার বাবা ৭২ বছরের বয়োজৈষ্ঠকে সরকারী ব্যাংক লোন, সরকারী বাড়ি তৈরী ইত্যাদির প্রলোভন দেখিয়ে সাংবাদিক আমিনুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায়। আজকের পূর্বে আমি কিংবা আমার বাবা উনাকে দেখিনি কিংবা উনার সাথে কোন বিষয়ে মতবিরোধ হয়নি। তাই আমার বাবা নিজের ভুল বুজতে পেরে মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন করেছেন।
এছাড়া আমি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সম্পাদক মহোদয়ের সাথে কথা বলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে প্ররোচনাকারী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখরাবিরোধী আচরণ ও একজন বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাকে দেশজুড়ে সমালোচিত করার ঘৃন্যতম অপরাধের বিচার চেয়ে লেখিত আবেদন করেছি।
Posted ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad