দেখতে দেখতে নদী ভাঙ্গনে বিলিন হতে চলেছে দিরাই শাল্লার সীমান্তবর্তী জয়পুর গ্রামটি। গত কয়েক দিনে নদীগর্ভে চলে গেছে ৯ টি পরিবার । এ অবস্থায় গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পরেছে।
বুধবার সরজমিনে দেখা যায় দিরাই উপজেলার উদগল হাওরের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত প্রায় ৯০ টি পরিবার নিয়ে জয়পুর গ্রামটি অবস্থিত। বন্যার কবল থেকে গ্রামটিকে রক্ষার সার্থে পুর্বপাশে বিশাল প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। এখন সেই দেয়ালসহ বহু পরিবার নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে।
এবিষয়ে গ্রামের সনঞ্জীব চৌধুরী জানান যে ভাবে ভাঙ্গন ধরেছে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে গ্রামের অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন এ বছর গ্রামের উত্তরপাশ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভাঙ্গার কারণে খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে। গ্রামটি রক্ষা করতে হলে পানি উন্নয়ন বাঁধের উপর দিয়ে স্থায়ী রাস্তা নির্মাণ হলে হাওর ওবাঁচবে, গ্রামটি ও রক্ষা পাবে এবং মিলন বাজার হতে শাল্লার সংযোগ সড়কটি ও হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
নদীর পশ্চিম পারের নওয়াগাঁও গ্রামের শংকর চক্রবত্তী বলেন জয়পুরের ৮/৯ টি পরিবারের ভিটে নদীতে চলে গেছে। পাশাপাশি আমাদের গ্রামের অবস্থা ও হুমকির মুখে। তিনি বলেন যে ভাবেই হোক ভাঙ্গন ঠেকাতে হবে অন্যতায় ভাঙ্গনে পরে শেষ হয়ে যাবে গ্রামটি।
একেই গ্রামের ্ররুপক দাস জানান নদী ভাঙ্গনের প্রভাব তাদের গ্রামে ও পরেছে। আবার প্রতি বছর হাওর রক্ষা বাঁধে মাটি দিতে গিয়ে গ্রামের চারপাশেে বিশাল বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এখন সেই গর্তই আরো নদী ভাঙ্গনে সহায়তা করছে।
এনিয়ে শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী বলেন, জয়পুর গ্রামটিকে রক্ষা করতে হলে উদগল হাওর রক্ষা বাঁধটি নিয়ামতপুর থেকে জয়পুর বাঁধটিকে স্থায়ী রাস্তা
হিসেবে নির্মাণ করা হলে নদী ভাঙ্গন রোধসহ এলাকার জনসাধারণ বহু উপকৃত হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের জনগুরুত্বপুর্ন বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।