সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারেে সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান, অফিস পাড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম (মৃত্যু দিবস) জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। এদিকে লক্ষিপুর ইউনিয়নের লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজে অবহেলা করে দিবসটি পালন করা হয়নি। প্রতিষ্টানের প্রধান মো. আব্দুল কাদির সরকারী নির্দেশ অমান্য করে তিনি ঈদের আগেই কলেজ বন্ধ ঘোষনা করে তার নিজ বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছেন। এনিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন অবহেলা করে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়নি।আবার কেউ বলছেন যারা শিক্ষা প্রতিষ্টানের দায়ীত্বে রয়েছেন তারা মনেহয় সরকার বিরুধী দলের দালাল।
এব্যাপারে একজন প্রভষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমরা জানি জাতীয় দিবস পালন করতে হবে। কিন্তু আমাদের প্রিন্সিপাল সাহেবকে ফোনে বলার পর তিনি বলেন প্রোগ্রাম করা এত জরুরী নয় বন্ধের সময় বাড়িতে বসে থাকেন। এরপর আর উনার সাথে কথা হয়নি, উনি এখনও( বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা) পর্যন্ত উনার বাড়ি কিশোরগঞ্জ আছেন।
অনসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো.আব্দুল মজিদ খান বলেন, আমার বাড়ির পাশেই প্রতিষ্টানটি প্রতি বছর আমরা জাতীয় শোক দিবস এমনকি সরকারি সকল দিবস পালন করেছি। এবছর নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হওয়ায় তিনি জাতীয় শোক দিবসটি অবহেলার দৃষ্টিতে তিনি পালন করেন নাই।
কলেজ শাখার একজন প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ঐ প্রধান শিক্ষককে নিয়োগের পর থেকে প্রতিষ্টানের অনিয়ম অন্যায় দেখে নিজ থেকেই প্রতিষ্টান ত্যাগ করেছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে রাতারাতি করে কেউ জানেনা। এমনকি দাতা কমিটির লোকজনদের সাথেও অবিচার করা হয়েছে। অনেক দাতাগনের নাম বাদ দিয়ে তাদের নিজেদের পছন্দের লোকজনের নাম সংযোজন করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেহের উল্লাহ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ আছে স্বস্ব প্রতিষ্টানে জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য। তিনি কেন দিবস পালন করেন নাই তা খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্তা নেয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, সরকারী নির্দেশ অমান্য করে লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজেে যদি জাতীয় শোক দিবস পালন না করে তাহলে তদন্ত করে প্রতিষ্টানের দায়িত্বশিলদের বিরুদ্ধে কটুর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
তবে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদিরের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করাহলেও তিনি কল রিসিভ করেন নাই