মখলিছ মিয়া, বানিয়াচং : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীর একটি আবেঘময় আবেদন, মাননীয় জেলা প্রশাসাক আমি কল্পনা (ছদ্মনাম) আমরা গরীব মানুষ, বাবা দিন মজুর, আমরা ৫ বোন ,আমি সবার বড়, আমাদের কোন ভাই নেই,আমাদের পরিবারের সদস্যা সংখ্যা ৮জন, আমি বৃন্দাবন সরকারী কলেজে মাস্টারর্স এ পড়ি,একমাত্র আমিই পরিবার চালাই, আমার বাবা উপার্জনে অক্ষম, আমি বীমা কোম্পানীর কর্মী হিসেবে কাজ করি, আমার বাড়ী বানিয়াচং উপজেলার তকবাজখানী গ্রামে, বর্তমানে করোনা এবং বন্যার কারনে আমি একেবারেই কর্মহীন হয়ে পড়েছি, এ অবস্থায় আমি আপনাদের কাছে একটু সহযোগিতা চাচ্ছি, এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ এ নিজের কথাগুলো ব্যক্ত করেন ওই শিক্ষার্থী।
বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পরপরই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ রানাকে অবগত করা হলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি মখলিছ মিয়া’র মাধ্যমে হত দরিদ্র ওই শিক্ষার্থীর খোঁজ নেন। ২৯ জুলাই বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে নিয়ে আসলে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তা ওই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেন ইউএনও মোঃ মাসুদ রানা।
এসময় ওই শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ রানার কাছ থেকে এ উপহারগুলো পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। সে জানায়, আমি জীবনেও কল্পনা করেনি আমার সামান্য একটি ম্যাসেজে এভাবে প্রশাসন তড়িৎভাবে আমাকে সাহায্য করবে, এটা আমার কল্পনারও বাহিরে, আমি কখনো এ দিনটির কথা ভূলতে পারবো না, এজন্য আমি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ রানা মহোদয়সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
এসময় ইউএনও মোঃ মাসুদ রানা ওই শিক্ষার্থীকে বলেন, আপনিসহ আপনার বোনদের পড়ালেখা চালিয়ে যান, ভবিষ্যতে আরো কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
Posted ৯:০৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad