কাজী মাহমুদুল হক সুজন : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী)’র প্রচেষ্টায় বাহুবল উপজেলার সীমান্তবর্তী ঢাকা-সিলেট রুটের ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্টিত সাটিয়াজুরী রেলস্টেশনটি মডেল ও আধুনিক ষ্টেশন হিসেবে উন্নিত হয়ে চালু হচ্ছে। মিলাদ গাজী এমপির ডিও লেটারের ভিত্তিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রেলওয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিনিয়র সহকরী সচিব ড. সৈয়দা নওশীন পর্ণিনী স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা গত ৭ ফেব্রয়ারী দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মিলাদ গাজী এমপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্টেশনটি চালু করার জন্য রেলকর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্টেশনটি চালু করার আশ্বাস প্রদান করেছে রেলকর্তৃপক্ষ। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই মডেল ও আধুনিক ষ্টেশন হিসেবে চালু হবে সাটিয়াজুরী রেলস্টেশন।
জানা যায়, আখাউড়া-সিলেট সেকশনের সাটিয়াজুরী রেল স্টেশনটি ১৯৯৮ সালে বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এতে এলাকার মানুষ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। এমন কি ওই সময় ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ অবরোধ করে রাখে বিক্ষুদ্ধ জনতা। আন্দোলনের মুখে সরকার স্টেশনটি বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলেও পরের বছর ১৯৯৯ সালে স্টেশনটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। ফলে ওই এলাকার ৫০/৬০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম দুর্ভোগ নেমে আসে।
এলাকাবাসী জানান, ব্রিটিশ আমলে এ রেলস্টেশনটি চালু হয়। সে সময় একাধিক ট্রেন থামত। পরে ধীরে ধীরে এ স্টেশনে ট্রেনের সংখ্যা কমতে থাকে। একসময় স্টেশনটি বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে এ রেলস্টেশন একটি পরিত্যক্ত রেলস্টেশনে পরিণত হয়।তাছাড়া এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার ফলে নষ্ট হচ্ছে স্টেশনের সরকারি সম্পত্তি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেলস্টেশন বলতে শুধু ব্রিটিশ আমলের সেই পাকা ভবনটিই আছে; তাও আবার পশুপাখির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। অফিস কক্ষের দরজা-জানালাগুলোও ভেঙে গেছে। ভেতরে তাকালে দেখা যায়, অনেক জিনিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে অনেক মূল্যবান জিনিস।
এলাকাবাসীর দাবি, সাটিয়াজুরী রেলস্টেশনটি চালু করে ট্রেন স্টপিজ দিলে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য পাবে। দুর্ভোগ লাঘব হবে এখানকার শতাধিক গ্রামের জনসাধারণের।