পি সি দাশ পীযূষ , শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক খাদ্য বান্ধব কর্মসূুচীর নামের বরাদ্দকৃত তালিকায় ব্যপক স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের শাল্লায়।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় অন্তরর্ভুক্ত যে সব কর্মসূচী রয়েছে তার বাহিরে বর্তমান করোনা ভাইরাসের
সঙ্কটকালীন পরিবারের সদস্যদের এ তালিকায় অন্তরভুক্ত করার জন্য গত ৩১ মার্চ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ইউপি চেয়ারম্যানদের লিখিত নির্দেশ দেন।
তালিকায় যে সব সদস্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে তারা হলেন, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, প্রতিবন্ধী/ বেদে/ হিজরা, ভবঘুরে/ ভিক্ষুক, রেষ্টুরেন্ট শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক/ মৎস্যজীবি, রিক্সা চালক / ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা,চায়ের দোকানী অন্যতম। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে ভিন্ন, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অন্তর্ভুক্ত দ্বৈত অসংখ্য ব্যক্তির নাম তালিকায় দেখা যাচ্ছে।
সরকার শাল্লার ৪ ইউনিয়নে মোট ১৮ মেঃ টন চাউল ও ৭০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে সাড়ে ৪ মেঃ টন চাউল ও সমপরিমান টাকা বন্টন পুর্বক বিলি করার জন্য মোট ১৮ শত পরিবারের জগাখিচুড়ি তালিকা ও তৈরি করা হয়েছে। সেই চাউল মঙ্গলবার উত্তুলন হয়।
প্রত্যেক পরিবার ১০ কেজি চাউল ও টাকার অনুপাতে আলু পাবে বলে পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়। অথচ তাদের মনগড়া মোট ১৮ শত নামের তালিকা হজবর রেখেই ইচ্ছা মাফিক চাউল বন্টনের পায়তারা চলছে বলে এলাকাবাসী জানান। তালিকা দেখতে গেলে দেখা যায় উপজেলার তালিকায় একেই পরিবারে একাধিক নামসহ সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় অন্তর্ভুক্ত বহুু সদস্য রয়েছে।অন্য দিকে বাদ পরেছে ন্যায্য ভুক্তভোগী অসংখ্য পরিবার।
সরজমিনে দেখা যায় শাল্লা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর নুর তার ছেলে,দুই ভাতিজা ও ভাবী দিয়েছে ত্রানের তালিকায়। অন্য দিকে শ্রীহাইল গ্রামের একেই পরিবারের সিরাজুল ইসলামের তিন ছেলে নাম, আবদা গ্রামের গোলকবাসী দাসের দুই ছেলে, সীমেরকান্দা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে একই গ্রামের নুর মিয়ার দুই ছেলের নাম তালিকায় পাওয়া যায়।
এনিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উটেছে। তবে চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়া বলেছে তারা পৃথক পরিবার হওয়ার তাদের নাম তালিকায় অন্তরভূক্ত হয়েছে। এ রকম জগাখিচুড়ি ত্রানের তালিকা প্রনয়ন সবকটি ইউনিয়নেই রয়েছে তালিকায় প্রমাণ মিলে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন অবশ্য বলেছেন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
তবে কতটুকু হবে তা নিয়ে এলাকার সচেতন মহল চিন্তিত। সাধারণ মানুষ বলছে ত্রান কার্যক্রমের তালিকাটি তৈরিতে যেন কানার হাতে কুড়াল তুলে দেয়ার ন্যায়।