সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে জাল দলিল করতে গিয়ে ধরা পরলো দলিল লিখক শান্ত কুমার তালুকদার। সোমবার অফিস চলাকালীন সময়ে এঘটনা ঘটে। জানা যায় – উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের পুটকা গ্রামের প্রীতি ভুষন দাস পাশের সরসপুর গ্রামের নিখিল দাসের ১ কেদার জমি ক্রয়কৃত দলিল করতে গিয়ে জাল দলিল ধরা পরে সাবরেজিস্ট্রারের নজরে।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি দলিল লিখক শান্ত তালুকদারকে উপস্থিত লোকজনের সামনে কিসের বিনিময়ে জাল দলিল করেছেন জানতে চাইলে শান্ত দলিল দাতা নিখিল দাসের উপর সমস্ত দোষ চাপিয়ে দেন। তার উত্তর শোনার পর সাবরেজিস্ট্রার দলিল দাতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার জন্য শান্তকে নির্দেশ দেন। এঘটনায় শান্ত তালুকদার অভিযোগ লিখে থানায় যান কিন্তু অভিযোগ দাখিল করেনি বলে ওসি আমিনুল ইসলাম জানান। দলিল দাতা নিখিল দাস বলেন, আমার দলিল করে দিবে শান্ত তালুকদার। এখন শুনছি আমার নামে মামলা হবে। তিনি জানান আমি এসব কিছু বুঝিনা, যা করার তো সব শান্ত তালুকদারের পরামর্শে হয়েছে।
এনিয়ে দলিল গ্রহীতা প্রীতিভূষন দাস বলেন, আমি সরসপুরের নিখিল দাসের নিকট থেকে ১ কেদার জমি ক্রয় করেছি তার পিতার সম্পত্তি। সোমবার সাবরেজিস্ট্রারের সামনে দলিল দাখিল করা হলে ভূয়া দলিল হিসেবে ধরা পরে । পরে জানতে পারি আমাকে যে জমি দেয়ার কথা সেটি না দিয়ে অন্য জমির দলিল লিখা হয়েছে। সাবরেজিস্ট্রার সাহেব জাল দলিল ধরেছে বলে আমার জন্য খুব ভাল হয়েছে। তিনি জানান টাকা দিয়ে আমি জাল দলিল করবো কেন।
এনিয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সোমবার সন্ধার দিকে শান্ত তালুকদার একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিল । এবিষয়ে কথা ও হয়েছে। কিছুক্ষুণ পর আবার অভিযোগটি নিয়ে চলে যান তিনি ।
এবিষয়ে শাল্লা উপজেলার দায়িত্বরত সবরেজিস্ট্রার আব্দুল বাতেন জানান, অফিস চলা অবস্থায় দলিল লিখক শান্ত তালুকদারের জাল দলিলটি ধরা পরে। এবিষয়ে শান্তকে শেষ বারের মত সাবধান করা হয়েছে এবং যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শান্ত তালুকদারকে থানায় মামালার পরামর্শ দিয়েছি । আরো বলেন, ইতি পুর্বে আরো তিন জন দলিল লিখককে লিখিত মুছলেকা রেখে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি বলেন আইনের মধ্যে তেকেই দলিল লিখকতে হবে, অন্যতায় যে বা যারা জাল দলিল করতে আসবে বা সহযোগিতা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।
Posted ৭:৪৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ নভেম্বর ২০২১
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad