পি সি দাশ, শাল্লা(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগজের হাওর বেষ্টিত শাল্লায় ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য মানুষ নৌ পথে প্রবেশ করছে। ফলে উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ মানুষের করোনা ঝুঁকি রয়েছে। গত কয়েক দিনে ঢাকা-গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৩৭ জন লোক শাল্লার বিভিন্ন গ্রামে এসেছে বলে প্রশাসন নিশ্চিত করেছে ।
আগত অনেকই বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করায় মারাত্মক ঝুঁকিতে পরেছে এলাকাবাসী। পাশের উপজেলাগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার ফলে শাল্লার জন মনে আতঙ্ক দিন দিন বেড়েই চলছে। এক দিকে কৃষকের এক মাত্র বোরো ফসল ঘরে উটানোর চিন্তা অন্য দিকে মহামারী করোনা অতঙ্ক। সব মিলিয়ে বিপাকে শাল্লাসহ হাওর পাড়ের মানুষ।
যারা আসছে এই সব লোকদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।পুলিশ গেলে কোয়ারেন্টাইন এ থাকা লোকেরা ঘরে থাকলেও পুলিশ আসা মাত্র আবার বাহিরে বের হয়ে যাচ্ছে অনেকই। আবার অনেকই স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকদের তথ্য গোপন করছেন।
শাল্লা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ৪৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারো নমুনা সংগ্রহ না করায় বুঝা যাচ্ছেনা এদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কি না।
তবে সচেতন মহল বলছেন যত দ্রুত সম্ভব তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করা উচিৎ। অন্যতায় করোনা হুমকি প্রতিনিয়ত বাড়তে ই থাকবে।
শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কিট সংকটের কারনে এখনও ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকদের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর যদি কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে । বাকীদের নমুনা সংগ্রহ করা দরকার হবেনা।
এবিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, আমারা সকলের হোম কোয়ারান্টাইন এবং প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছি।স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারদের তাদের দেখা শোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার পর ও যখন যা প্রয়োজন আমরা তাই করতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রেখেছি বলে জানান। এ
লাকাবাসীর দাবী যত দ্রুত শাল্লায় করোন সনাক্তকরন কিট প্রেরণ পুর্বক করোনা ঝুঁকিরাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।