মখলিছ মিয়া, বানিয়াচং থেকে : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য দাঙ্গায় উপজেলা চেয়ারম্যান, পুলিশসহ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ৫শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
গুরুতর আহত অন্তত ১০ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে আহতরা সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও স্থানীয় ফার্মেসীতে চিকিৎসা নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বানিয়াচং সদরের দোয়াখানী ও প্রথম রেখ গ্রামবাসীর মধ্যে।
দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়া গ্রাম্য দাঙ্গা একটানা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ সেলিম উদ্দিন, ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত’র নেতৃত্বে বানিয়াচং থানার সকল অফিসারসহ বিপূল সংখ্যক দাঙ্গাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এক পর্যায়ে দাঙ্গাবাজরা রাস্তায় ও ঘরের পাশে খড়ে আগূন লাগিয়ে দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ফায়ার সার্ভিস বানিয়াচং ইউনিট এর কর্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগূন নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা বানিয়াচং সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ দিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ বিভিন্ন পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৫শতাধিক দেশীয় মরনাস্ত্র উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে দোয়াখানী গ্রামের ছামির উদ্দিন (৪৫) কে রাস্তায় মারপিঠ করে প্রথম রেখ গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে দিলু মিয়া (২৬ )। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর লোকজনের মধ্যে গতকাল এ ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ পুলিশের জোরালো পদক্ষেপে ভয়াবহ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম জানান, ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আহত বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এধরনের সংঘর্ষ খুবই দুঃজনক, এ ঘটনাটি যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এজন্য তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Posted ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad