পি সি দাশ শাল্লা সুনামগঞ্জ, প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদ শাল্লায় ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শনে এসে বাঁধে নিম্নমানের কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি পিআইসিদের উদ্দেশ্যে বলেন বাঁধের কাজে কোন প্রকার দুর্নীতি অনিয়ম কখনোই বরদাশ করা হবেনা, সে যেই হোক।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ বৃহস্পতিবার সকলে হাওরের বাঁধ পরিদর্শনে এসে মিলন বাজারে পৌছলে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন সহ বেশ কজন কর্মকর্তা উনাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে চাইলে ডিসি আহাদ বলেন, আমি ফুলের শুভেচ্ছা নিতে আসিনি, এসেছি বাঁধ দেখতে। বাঁধের কোথায় কি অবস্থা সেটি বলুন বলে ফুলের তোড়া গ্রহন করেননি।
এসময় তিনি বাঁধের যাবতিয় কাগজপত্র নিয়ে ১৩৭ টি পিআইসি পরিদর্শনের জন্য জেলার আগত অফিসা সংশ্লিষ্ট ৭ টি টিম গঠন করেন এবং প্রত্যেক টিমকে ২০ টি পিআইসি পরিদর্শন করার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক নিজে কালিয়াকোটা হাওরের ৫৬ নং পিআইসি থেকে ৬৬ নং পিআইসির কাজ দেখেন। এসময় তিনি ৫৭,৫৮,৬০,৬৬ নং বাঁধে নামে মাত্র কাজ শুরু হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তাছাড়া ৫৬ নং পিআইসি সহ বেশ কয়েকটি বাঁধের কম্প্যাকশন, বাঁধের নিকট থেকে মাটি উঠানো, প্রায় প্রকল্পে সাইনবোর্ড নেই, আবার যে গুলো আছে সেগুলো ও মাটিতে ফেলে রাখা, অনেক পিআইসি সভাপতির ফোন বন্ধ পাওয়া, আবার যে সব বাঁধের কাজ চলছে সেগুলোর সঠিন ভাবে কাজ না হওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ক্ষোব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

Exif_JPEG_420
পরে সন্ধায় উপজেলা গণমিলনায়তনে পিআইসির সভাপতি/সম্পাদকবৃন্দের উপস্থিতিতে বাঁধ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আব্দুল আহাদ।
সভায় তিনি বলেন যে রকম কাজ হবে সে অনুযায়ী বিল পাবেন। অপ্রয়োজনীয় বাঁধ প্রমাণিত হলে তার দ্বায়ভার তিনি কখনোই নিবেন না। সরকারের অর্থ অপয়চয় করা যাবেনা সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন পিআইসির সদস্যদের বলেন বাঁধের কাজের স্বনাম পিড়িয়ে সঠিক নিয়মে কাজ করতে বলেন।
বাঁধ পরিদর্শনে সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী (২) শরিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোঃ রিফাতুল হক সহ জেলার কয়েক জন কর্মকর্তা, উপজেলার বেশ কয়েক জন অফিসার, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ ও পিআইসি র সদস্যবৃন্দ।