কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যেও টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ৩ দফা বন্যায় গ্রামীন সড়ক ও ব্রীজ কালভার্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় লন্ডভন্ড গ্রামীণ সড়কে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। বন্যায় উপজেলার প্রায় ১৫ টি রাস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার দরুন জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষদের। তাদের দাবী দ্রুত যেন সংস্কার করা হয় রাস্থাগুলো
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বন্যায় উপজেলার কোন কোন এলাকার পুরো রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আবার কোন কোন গ্রামীন রাস্থা খানাখন্দ সৃষ্টি ও ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষদেরকে। শুধু গ্রামীণ পাকা সড়কই নয় বন্যায় গ্রাম্য এলাকার অনেক রাস্থা পুরোটাই বিলীন হয়ে গেছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল(এলজিইডি) অফিস সুত্রে জানা যায়, পরপর ৩ দফা বন্যা হওয়ায় ক্ষতির পরিমান সঠিকভাবে নিরূপণ না করা গেলেও বন্যাায় গ্রামীণ সড়ক ও ব্রীজ কালভার্ট সহ আনুমানিক প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবং ভাঙ্গা সড়কগুলোর তালিকা ইতিমধ্যেই জেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়েছেন তারা। যে সকল রাস্থা ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এলজিইডি অফিস এর দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলেও জানা যায়।
উপজেলার মৌগাও এলাকার লিংকন বৈদ্য বলেন, বন্যায় আমাদের পুরো রাস্থা ভেঙ্গে গেছে। এখন চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। সরকারের কাছে জোর দাবি দ্রুত যেন রাস্তাটি সংস্কার করে দেয়া হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও দরগাপাশার বাসিন্দা সদরুল ইসলাম বলেন, রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ দ্রুত যেন রাস্থা সংস্কার করা হয়৷
সিচনী এলাকার একজন বলেন, সিচনি রাস্তাটি বন্যায় তছনছ হয়ে গেছে। এলাকার মানুষের চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। সরকারের কাছে আকুল আবেদন দ্রুত যেন আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মোঃ শামীম হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে৷ যে সকল রাস্তার পুরো ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সেই রাস্তাগুলো দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে।