আলম সাব্বির, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠ জুড়ে ছোট ছোট গাছে সবুজ পাতার সমারোহ, প্রখর রোদের মধ্যেও আনন্দ আর উৎফুল্ল নিয়ে বাদাম তোলছে কৃষকও পরিবারের লোকজন।
তাহিরপুর বাদঘাট বাজার হতে বড়দল (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদ মুখীরাস্তা দিয়ে দিয়ে যাওয়ার পথে গুঠিলা গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল মতিন বলেন এবার ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন তিনি, খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭মন বাদাম উৎপন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী। প্রতি মন বাদামের বাজার মূল্য ২হাজার ৫’শ থেকে ৩ হাজার টাকার মত।
সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ রোধে দেশ জুড়ে লকডাউনের কারণে বাদাম কেনার জন্য বাইরে থেকে কোনো ক্রেতা না আসায় তার মত অনেক কৃষক অনেকটা বাধ্য হয়েই বাড়িতে আলাদা গোলা তৈরি করে বাদাম সংরক্ষণ করবেন।
বাদাম তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রতনা বেগম (২৫) নামক এক মহিলা তিনি জানান বাদাম তুলতে এসেছেন বাড়তি আয়ের জন্য। জমি থেকে বাদাম তোলা বেশি কষ্টকর কাজ নয় বলে ছোটরাও একাজ সহজে করতে পারে। একই কথা বল্লেন গইরা রাজ গ্রামের রতনা রুজিনা বেগম তাছলিমা বেগম সহ অনেকেই।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানআসাদ তাহিরপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১২৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে।আর বাদাঘাটও বালিজুড়ী ইউনিয়নের বাদামের দুটি প্রদর্শন প্লট আছে কৃষি অফিসে। বাদামের ফলনও গত বছরের তুলনায় এবার ভাল।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান-উদ-দৌলা জানান,এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি তেই বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। এখন উৎসব মুখর পরিবেশ কৃষকরা বাদাম তোলা আর শুকানো নিয়ে ব্যস্থ সময় পাড় করছে। করোনার প্রভাবে কৃষকরা বাদাম বিক্রি করতে পারছেন না টিকই কিন্তু একটু ধৈয্য ধরে সময় নিয়ে বিক্রি করলে অধিক লাভমান হবেন বলে আশা করি।
Posted ৯:১৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৬ মে ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad