ছবি- সিলেটের জনপদ
ছাতকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ২৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা হামলা করে সংখ্যালঘু পরিবারের ২০-২৫টি বসত ঘর ভাংচুর করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের জামুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ক’দিন ধরে জামুরা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র এখলাছ, মামুন মিয়ার পুত্র ইসমাইল, যজ্ঞ দাসের পুত্র অপূর্ব দাসসহ কয়েকজন যুবক জামুরা হিন্দু পাড়া আখড়া এলাকায় আড্ডা দিতে যায়। এ সময় তারা পাড়ার মেয়েদের লক্ষ্য করে অশালীন আচরনও করতে থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে একইভাবে তারা আখড়া এলাকায় গিয়ে বখাটেপনা শুরু করলে গ্রামের রাজ কুমার দাসের পুত্র সন্তোষ দাস তাদের বাঁধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে সন্তোষ দাসকে মারধোর করে তারা। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা হামলা করে জামুরা হিন্দু পাড়ার ইউপি সদস্য প্রিয়বালা দাসের বসতঘরসহ ২০-২৫টি বসতঘর ভাংচুর ও মারধোর করে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে নারীসহ ২৫ ব্যক্তি আহত হয়। গুরুত আহত অতুল দাস(৪৫), রাজ কুমার দাস(২৩),শক্তি রানী রাস,সমতি দাস(৩২), হাসান আহমদ(২৪), শাহজাহান(২৩) ও হাছন আলী(৩৮)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিউটি দাস, আলোয় দাস, পরিতোষ দাস, রানু দাসসহ আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান জেলা পরিষদ সদস্য আজমল হোসেন সজল ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া। ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
Posted ৬:২৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad