গোলাপগঞ্জে কৃত্রিম বীজ সংকটে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ লকডাউনে বাজারে বীজ পাওয়া যাচ্ছে না এমন অজুহাতে স্থানীয় ডিলাররা হঠাৎ করে বীজের দাম বৃদ্ধি করায় হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা। সরকারীভাবে বীজ বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় এমন মন্তব্য করছেন স্থানীয় একাধিক কৃষক।
জানাযায়, উপজেলার পৌরসদর ও ১১ ইউনিয়নে সরকারীভাবে বীজ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম ছিল। যার ফলে বীজ বিতরণের দিন অনেক কৃষক সরকারী বিনামূল্যের বীজ লাভে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। অন্যদিকে বিএডিসি নিবন্ধিত ডিলাররা লকডাউনের দোহাই দিয়ে ৪শ টাকার বীজ ৮-৯শ টাকা ধরে চড়া মূল্যে বিক্রি করায় ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় পড়ছেন স্থানীয় একাধিক কৃষক। জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হচ্ছেন এমন অভিযোগ করছেন তারা।
বাঘা ইউনিয়নের উত্তর কান্দিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আহাদ জানান, এবার সরকারী বীজও পাইনি। তাছাড়া বাজারে যে সব ডিলার রয়েছেন, তারা চড়া মূল্যে বীজ বিক্রি করে চললেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বা কৃষি অধিদপ্তরের কোন মনিটরিং নেই। ফলে আমার মত নিন্ম আয়ের কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। উপজেলার একাধিক কৃষকের এমন মন্তব্য করেন।
লক্ষীপাশা ইউনিয়নের রামাকান্ত দাস বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেও ধানের বীজ পাইনি। অন্যদিকে বাজারে গিয়ে চড়া মূল্য দেখে বীজ ক্রয়ও করতে পারছিনা, আবার অন্য কোন পেশা জানা না থাকায় কৃষিকাজ ছাড়তেও পারছিনা।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, এ বছর প্রয়োজনের তুলনায় কম বীজ সংগ্রহ হয়েছে বিধায় কিছুটা বীজ সংকট রয়েছে। তবে ঈদের পর সরকারীভাবে বীজ পুনঃ বিতরণ করা হবে বা হলে এ সংকট কেটে যাবে। অন্য দিকে যেসব ডিলাররা বীজ বিক্রি করছেন, তাদের মাঝে বিএডিসির নিবন্ধিত ডিলারের বাহিরে যারা তারা হয়ত কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারেন। এ ব্যাপারে তাদের বিশেষ নজর রয়েছে বলে জানান।
Posted ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০১ আগস্ট ২০২১
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad