জকিগঞ্জ(সিলেট)প্রতিনিধি: ভারতে পালিয়ে যাবার সময় নানা অপকর্মের হোতা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলাসার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম উরফে ফকির মাস্তানকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ কানাইঘাট উপজেলার কাড়াবাল্লা সীমান্ত থেকে আটক করেছে। এই ঘটনায় তার অপর তিন সহযোগী এবাদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও শাহাজাহানকেও পুলিশ গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে।
শুক্রবার আটককৃতদের জকিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেনের আদালতে তোলা হলে আদালততাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, আব্দুস সালাম মেম্বার কর্তৃক একই ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিনকে বাঁশে ঝুলিয়ে হাত পা বেঁধে নির্মম নির্যাতনের প্রায় ১০ মাস পূর্বের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সর্বত্র ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে। তাকে গ্রেফতারের দাবী উঠে। পুলিশ তাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করার খবর শুনে ভুক্তভোগী ও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিগণ জকিগঞ্জের আটগ্রাম ও রতনগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে। মূর্তিমান আতঙ্ক সালাম মেম্বারকে গ্রেফতার করায় জনমনে স্বস্তি নেমে এসেছে। অনেকে সেফবুক স্ট্যাটাসে সিলেটের পুলিশ সুপার ও জকিগঞ্জ পুলিশের প্রশংসা করে আটক সালাম মেম্বারের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক সুশংকর পাল জানান, বৃহস্পতিবার নির্যাতিত গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় সালাম মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। সালাম মেম্বারের ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিচারের নামে অমানুষিক নির্যাতন, হত্যা, নারী কেলেঙ্কারী, দখলবাজী ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতাসহ নানা অভিযোগে একাধিকবার আলোচনায় আসেন ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম। অথচ তার বিরুদ্ধে এতদিন প্রকাশ্যে কথা বলা কিংবা প্রতিবাদ করার দু:সাহস কেউ দেখায়নি। প্রায় দেড়যুগ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় লোকের সাথে সখ্যতা ও নিজের ক্ষমতা বলে নানা অপরাধ করেও আইনের ফাঁক দিয়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি।
Posted ১১:৫৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad