গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কর্মসৃজন প্রকল্পের ২৫জন শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ডৌবাড়ী ইউপি’র মহিলা সদস্য জলি রানী দাসের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় হাকুর বাজার মানিকগঞ্জ রাস্তার কামাইদ সমিরনের রাইস মিল হইতে লালুর দোকান পযর্ন্ত পূণঃ নির্মাণ কর্মসৃন প্রকল্প” কাজের ২৫জন শ্রমিকের ২লক্ষ টাকা সরকার কর্তৃক বরাদ্ধ হয়। নামে মাত্র প্রকল্পের কাজ করে সমুদ্বয় টাকা আত্মসাৎ করেন জলী রানী দাস। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজের ধাপ অনুযায়ী অগ্রিমসহ ৩টি ধাপে ২লক্ষ বরাদ্ধ প্রদান করেন। বরাদ্ধের টাকা উত্তোলনের পর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ইউপি সদস্য জলি রানী প্রকল্পের কোন কাজ করেনি। প্রকল্পের কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসী দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবরে গত বছরের ৪নভেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে চলিত বছরের ২৩জুলাই লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে সরেজমিন তদন্তপূবক প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহি বরাবরে দাখিল করতে বলেন। উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরী করেননি। এলাকাবাসী অভিলম্বে প্রকল্পের কাজ দুর্নীতিরে সুষ্ট তদন্তের দাবী জানান।
কাজের অনিয়ম বিষয় জানতে ইউপি সদস্য জলি রানীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার এই প্রকল্পের কাজ ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি উপন বাবু এই প্রকল্পের কাজ করেন। এই বিষয় আর কিছুই জানিনা, আমি নামেমাত্র প্রজেক্ট সভাপতি ছিলাম। তবে চাইলে তাদের কাছ থেকে কাজের হিসাবের কাগজপত্র সংগ্রহ করে দিতে পারবো।
এ ব্যপারে উক্ত অভিযোগ তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা প্রকৌশলী রাসেন্দ্র চন্দ দেব বলেন- ‘সব বুঝেছি এ নিয়ে এতো বাড়া-বাড়ি কেন? আপনাদের ফোনের জালায় আমি অতিষ্ট, আমাকে কী চাকুরী করতে দিবেন না?’ এরপর তিনি বলেন ‘আমি ও আরো দুইজন এই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পেক্ষিতে তদন্ত করেছি। খুব শিগ্রই তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করবো।’