বিজয় রায়, ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে চোরাই পথে পাথর উত্তোলনে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় পাথর শ্রমিকদের সাথে বিজিবি সদস্যদের সংঘর্ষে ৩ বিজিবি সদস্যসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতরা প্রাইভেটভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম সংলগ্ন সীমান্তবর্তী বাইরং নদীর তীরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রতনপুর গ্রামের আহমদ আলী ও ফুল মিয়ার নেতৃত্বে প্রায়ই বাইরং নদী থেকে অবৈধভাবে সিঙ্গেল পাথর উত্তোলন করা হতো। একইভাবে মঙ্গলবার ভোর রাতে বাইরং নদীতে ১৫-২০ জন শ্রমিক চোরাই পথে পাথর উত্তোলন করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ধাওয়া করে। এসময় পাথর শ্রমিকরা পাল্টা ধাওয়া দিলে বিজিবি সদস্যদের সাথে পাথর শ্রমিকদের সংঘর্ষ ঘটে।
সংঘর্ষে বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল হালিম, সিপাহী কাওসার আহমদ, সিপাহী জাহাঙ্গির আলমসহ ১৫ ব্যক্তি আহত হয়। এক পর্যায়ে চোরাই পথে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে যায়। এসময় গ্রেফতারের ভয়ে আহত পাথর শ্রমিকরা পাশ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চিকিৎসা নিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এরশাদ আলী নামক এক শ্রমিককে বিজিবি সদস্যরা বেধড়ক পিটিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আহত নোয়াকোট বিজিবি ক্যাম্প কমামান্ডার আব্দুল হালিমসহ ২ বিজিবি সদস্য প্রাথমিক চিকিৎিসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নোয়াকোট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাব্দুল আলিম বাদী হয়ে ছাতক থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কমান্ডার আব্দুল হালিম জানান, বাইং নদী থেকে চোরাই পথে পাথর উত্তোলনে বাঁধা দিলে পাথর উত্তোলনে নিয়োজিতরা বিজিবি সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এসময় তিনিসহ ক্যাম্পর ২ বিজিবি সদস্য আহত হয়। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ছাতক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
Posted ৯:২৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad