অন্ধ হলেও বুকে আছে কোরআন, প্রতিনিয়ত আল্লাহর ধ্যানে কাটে সময়। চোখের দৃষ্টি না থাকলেও ছিলেন দ্বীনের দায়ি।জীবনের এ প্রান্তে এসে দুটি কিডনি বিকল হতে চলেছে।বেশ ক্লান্ত দেহে ঘরের ভেতরই চলছে দিনযাপন।কেবল নামাজ ও কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করেই সময় কাটছে হাফিজ সিরাজুল ইসলামের।
ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের রঘুপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম। একমাত্র মা আর স্ত্রী নিয়ে তাঁর সংসার। নিঃসন্তান হাফিজ সিরাজুল ইসলাম সংসারের ভরণপোষণ করে আসছেন দীর্ঘ দিন যাবৎ। গত কয়েক মাস ধরে নানা রোগে ভোগছেন। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর কিডনিতে জটিলতা ধরা পরে। চিকিৎসা করাতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। প্রথমত পাড়া-প্রতিবেশি আর্থিক সহযোগিতা করলেও এখন আর সংসার ও চিকিৎসা দুটো চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে হাফিজ সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , “আল্লাহ তায়ালা আমার ভাগ্যে কি রেখেছেন তা তিনিই জানেন। আল্লাহর হুকুমে যা হবে তাতেই আমি রাজি এবং খুশি।”
এ ব্যাপারে তার মা হাওয়ারুন নেছার সাথে কথা হলে তিনি বলেন , তার ছেলে একজন প্রতিবন্ধী (অন্ধ)। আল্লামা নূরউদ্দিন গহরপুরী (রহ.) জীবিত থাকাকালে হাফিজ সিরাজুল ইসলাম গহরপুর মাদরাসায় হিফজ বিভাগে পড়েছেন। হাফিজ সিরাজুল ইসলাম তাঁর প্রতিবন্ধীতা থাকা সত্ত্বেও দূর-দূরান্তে বিভিন্ন ধর্মীয় মাহফিলে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।
গত দেড় মাস যাবত তিনি প্রায় শয্যাশায়ী। সংসারের ভরণ-পোষণ আর ছেলের চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি বিত্তবান সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।