অজামিল চন্দ্র নাথ, গোলাপগঞ্জ: গোলাপগঞ্জে এক দিনে ১৪ জন সহ উপজেলায় মোট ২১জন করোনা রোগী শনাক্তের পর উপজেলার গোলাপগঞ্জ, ঢাকাদক্ষিণ, ভাদেশ্বর (মোকামবাজার), হেতিমগঞ্জ ও আছিরগঞ্জ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
এ প্রেক্ষিতে ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মীরগঞ্জ বাজারেও দোকানপাট বন্ধ রাখতে মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী কাপড়ের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকান খোলা রেখে ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কাপড়ের দোকান খোলা রাখায় বাজারে বেড়েছে জনসমাগম। ক্রেতা বিক্রেতা কেউই মানছেন সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি। এতে করোনা হটস্পট গোলাপগঞ্জে সংক্রমণ ঝুঁকি সময় সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে উপজেলার ভাদেশ্বর (মোকামবাজার) পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকলেও কুশিয়ারা তীরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চল মীরগঞ্জ বাজারে প্রশাসনের নজরদারি চোখে পড়ে না বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বৃদ্ধির মাধ্যমে বিপনী বিতান বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মীরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ঝর্ণা ষ্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী সাবের আহমদ জানান, কিছু কাপড়ের ব্যবসায়ী নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখছেন। এতে জনসমাগম বেড়েই চলছে।
জননী মেডিসিন কর্ণারের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজ মাওলানা জামাল উদ্দিন নোমান করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে প্রশাসেনর নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানান।
৮নং ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত অন্যান্য দোকানপাট ও কাপড়ের দোকান বন্ধ রাখতে বাজারে মাইকিং করা হয়েছে। তবুও কিছু ব্যবসায়ী দোকান খুলে ব্যবসায় করছেন। মঙ্গলবার বণিক সমিতির সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান বলেন, এসব দোকানপাট বন্ধ রাখতে বণিক সমিতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে তিনি জানান।
Posted ৯:১৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad