শাব্বির এলাহী, কমলগঞ্জঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভালো নেই দেশের বই ব্যবসায়ীরা।দোকান খুলে সারাদিন বসে বসেই দিন কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বই ব্যবসায়ীরা।করোনা ভাইরাসের সংক্রমন হতে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই ভাল নেই কমলগঞ্জের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা ব্যবসায়ীরা।
সহায়ক বইয়ের চাহিদা কম থাকায় হাতে গোনা কিছু সৃজনশীল বই ছাড়া লাইব্রেরীর বেশিরভাগ সেলফ সাজানো হয়েছে স্কুল কলেজের খাতা, কলম , কাগজ ও দাপ্তরিক উপকরণ দিয়ে। আবার অনেক পুস্তক ব্যবসায়ীরা ব্যবসার ধরন পাল্টে বিক্রয় করছেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
স্টুডেন্ট লাইব্রেরীর পরিচালক ও বাপুস কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: রাহেল মিয়া জানান, সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেচা বিক্রি নেই বললেই চলে। এখন শুধু মাত্র ব্যবসাটি টিকিয়ে রাখার জন্য লাইব্রেরি চালু রাখছেন বই ব্যবসায়ীরা। প্রায় সময় ব্যবসায়ীরা আমার সাথে ফোনে আলাপ করেন কী ভাবে তারা ব্যবসাবানিজ্য পরিচালনা করে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচবেন। তখন সান্তনা দেওয়া ছাড়া কিছু বলার থাকেনা।
কমলগঞ্জের বিভিন্ন বইয়ের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সারাদিন বই পত্র বিক্রির বালাই নেই। অনেকে বাধ্য হয়ে ছোটদের খেলনা ও প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রির দিকে ঝুঁকছেন। দিগন্ত লাইব্রেরীর স্বত্তাধিকারী ও মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কায়ছার বলেন, অনেক ছোট ছোট ব্যবসায়ী খুব কষ্ঠে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারী ভাবে নেই কোন সহযোগিতা। আমরা বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে আয়করভুক্ত হলেও সরকারের পক্ষ থেকে আমরা পুস্তক বিক্রেতারা এখন পযন্ত কোন রকমের সুযোগ সুবিধা পাইনি। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অংশীদারিত্বসহ ব্যাপকভাবে ভুমিকা পালন করা বই বিক্রেতাগন সরকারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতা কামনা করছেন।
Posted ৮:০৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad