রবিবার ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

কমলগঞ্জে চুরি করে বালু বিত্রিু চলছে

মঙ্গলবার, ০৭ জুলাই ২০২০     171 ভিউ
কমলগঞ্জে চুরি করে বালু বিত্রিু চলছে

শাব্বির এলাহী, কমলগঞ্জ  প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর চর খনন করে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। স্তুপকৃত বালুগুলো দীর্ঘ দিন ধরে নিলাম না দেয়ায় কারনে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী বালু চোর চক্র প্রকাশ্য বালু নিয়ে বিত্রিু করছে। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার বুক দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর গুরুত্বপূর্ণ বাঁক সমুহে বালুর চর জমে নদীর নাব্যতা কমে গিয়েছিল। আঁকাবাঁকা ও ইউ আকৃতির ধলাই নদীতে অসংখ্য চর থাকার ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছিলো। অল্প বর্ষণেই উজানের পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদী ফুলে ফেঁপে উঠে।

প্রবল স্রোতে বাঁক ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিত। নদীর ভাঙনের কারণে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও গ্রাম্য রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়ে আসছিল। ফলে বিপুল সম্পদ, ফসল বন্যার পানিতে বিনষ্টসহ মানুষের বাড়ী-ঘর নদীর ভাঙ্গনের শিকার হতো।

৬৪টি জেলার খাল, জলাশয় ও নদী পুনর্খনন প্রকল্পের (১ম পর্যায়ের) আওতায় মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা সমস্যা থেকে উত্তরণে ও ধলাই নদীর স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে বড় বড় ২২টি স্থান চিহিুত করে চর অপসারণ খনন প্রকল্প হাতে নেয়।  এতে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে ঢাকার আরাধনা এন্টারপ্রাইজ চর অপসারণ করার কাজ করে। নদীর বালু অপসারন করে কোন নিরাপত্তা ছাড়াই নদীর পার্শ্বেই স্তুুপ করে ফেলে রেখে যায়। ফলে একদিকে বৃষ্টির পানিতে ঐ বালু আবার নদীতে পড়ে যাচ্ছে।

ঐ বালুসমুহ নিলামে বিত্রিু করার কথা থাকলে ও অদৃশ্য কারণে নিলাম না দিয়ে নদীর পার্শ্বেই নিরাপত্তা ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে। এই সুযোগে এক শ্রেণীর বালু ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্য মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজে ব্যবহারের নাম করে রাজস্ব ছাড়াই গাড়ী যোগে বালু নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। অপরদিকে নিলাম না দেয়ার কারনে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চত্রুবর্তীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু সমুহ নিলামে বিক্রি করার কথা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলাম দিবেন। এগুলো কাউকে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। যারা নিচ্ছেন তা অবৈধ। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ জুলাই ২০২০

Sylheter Janapad |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
সম্পাদক ও প্রকাশক
গোবিন্দ লাল রায় সুমন
প্রধান কার্যালয়
আখরা মার্কেট (২য় তলা) হবিগঞ্জ রোড, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
ফোন
+88 01618 320 606
+88 01719 149 849
Email
sjanapad@gmail.com