তাহিরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি, সমকাল ও সুনামগঞ্জের খবর প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়। তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও যায়যায়দিন প্রতিনিধি বাবরুল হাসান বাবলুর সভাপতিত্বে জরুরী সভায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব উপদেষ্টা রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, ইত্তেফাক, শ্যামল সিলেট ও সিলেটের জনপদ প্রতিনিধি আলম সাব্বির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মানবজমিন প্রতিনিধি এম.এ রাজ্জাক, অর্থ সম্পাদক, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এস এম সাজ্জাদ শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সংবাদ প্রতিনিধি কামাল হোসেন, নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, সিলেট ভয়েস ২৪.ডটকম প্রতিনিধি আবির হাসান মানিক, সুনামগঞ্জের সময় প্রতিনিধি সামায়ুন কবীর,মুবিনূর মিয়া প্রমূখ।
জরুরী সভায় সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামীলীগ করে আসছেন। তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি(১৯৮৮-১৯৯০,১৯৯০-২০১)।২০০৩ সালে গঠিত তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতেও তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। তাহার জন্মসনদ ও এএসসি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ পহেলা আগষ্ট ১৯৭১ সাল। ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্থানী হানাদারের বিরুদ্ধে যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন তার বয়স ছিল ৫ মাস। আর এই ৫মাসের শিশু কিভাবে যুদ্ধাপারাধে জড়িত থাকে তা নিয়ে উপজেলা জুড়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত: গত মঙ্গলবার একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের জাতীয় দৈনিক সমকালের তাহিরপুর প্রতিনিধি ও সুনামগঞ্জের খবর এর স্টাফ রিপোর্টার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাহিরপুর আমল গ্রহণকারী বিচারিক হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে,আমিনুল ইসলাম চিহ্নিত খুনি, লুটেরা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাদের পরিবার এলাকায় লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।অভিযুক্ত আসামি আমিনুল ইসলাম শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সোর্সের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মুক্তিযোদ্ধা সজাফর মিয়া জানান, “সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম নামে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় নাই। আমি কারো বিরোদ্ধে যুদ্ধাধাপরাধ অভিযোগে মামলা করেনি।” তিনি বলেন, “গত মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা রৌজ আলীর সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। আর এ বিষয় নিয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ দিতে গেয়েছিলাম সুনামগঞ্জে, এর চেয়ে বেশী কিছু জানা নেই আমার”
Posted ৪:৫২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২১ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad