মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ থেকে : গ্রামবাংলার কালজয়ী ভাওয়াইয়া গানের কথায় ‘বট বৃক্ষের ছায়া যেমন রে মোর বন্ধুর মায়া তেমন রে… । বটগাছকে দুঃসময়ে আশ্রয় স্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এ কারণেই পরিবারের প্রধানকে বটগাছের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে।
বটগাছ শতবর্ষজীবী উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম, তাই মানুষ ও পাখির অকৃত্রিম বন্ধু। আবহমান বাংলার গ্রামীণ জনপদে নদীর পাড়ে ও হাটে বটগাছ পথিকের বিশ্রামের আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত হয়।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পুরানবাজার পুরাতন খোয়াই সেতু সংলগ্ন শ্যামল ছায়া প্রদানকারী কালেরসাক্ষী বটবৃক্ষটি কেটে ফেলেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। উপজেলার পুরানবাজার তিন রাস্তার মোড়ে শতাধিক বছর ধরে পথিক ও যাত্রীদের নিবিড় ছায়া দান করে আসছিল এই বট গাছটি ।
সম্প্রতি সড়ক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের স্বার্থে এ বটগাছটি কর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরকর্তৃপক্ষ। স্থানীয় লোকজনের দাবীর মুখে জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের দাবীর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ওই স্থানটির নামকরণ বটতলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া।
এ প্রসঙ্গে পৌরমেয়র মোঃ ছালেক মিয়া জানান, পৌরবাসীর দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করে এ স্থানটিকে বটতলা নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একই সাথে অত্র এলাকা সংলগ্ন স্থানে আরো কয়েকটি বটবৃক্ষের চারা রোপণ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১০/১৫ জন শ্রমিক মিলে শতবর্ষী বট গাছটি কাটার কাজে ব্যস্ত এবং স্থানীয় উৎসুক জনতা আলোচনা সমালোচনা করছে। এ সময় আব্দুল ওয়াদুদ নামে বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি জানান, এ গাছটির বয়স ১ শত বছরের অধিক হবে।
শতাধিক বছর পূর্বে সড়ক বিভাগের জনৈক কর্মচারী কর্তৃক রোপন করা এ গাছটি তীব্র গরমে লোকজনকে ছায়া দান করতো। কালের চাহিদায় উন্নয়নে স্বার্থে এ গাছটি কর্তন করা হলো।
Posted ১:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ মার্চ ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad