স্টাফ রিপোর্টার : শাল্লায় শান্ত কুমার দাস তালুকদার সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন পিআইসির কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আজ সে লাখ লাখ টাকার মালিক । আর সেই টাকা দিয়ে সম্প্রতি সদরে কয়েক লাখ টাকায় ভিটা ক্রয় করেছে।
সম্প্রতি ছায়ার হাওরের ১২৬ ও ১২৭ নং পিআইসির কাছে ৩৮ হাজার টাকা চাঁদাদাবির একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। ১২৭নং পিআইসির সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন আমার কাছে শান্ত কুমার দাস ২০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছে। ১২৬নং পিআইসির সভাপতি অপু সরকার বলেন আমার কাছে শান্ত কুমার দাস ১৮ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছে। আমরা বিষয়টি আমাদের চেয়ারম্যান সামীম মোড়ল সাহেবকে জানিয়েছি। আমরা এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
খালিয়াজুরি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামীম মোড়ল বলেন আমি পিআইসিতে যুক্ত নই। তবুও শান্ত কুমারসহ আরো বেশ’কজন সাংবাদকর্মী আমি পিআইসিতে যুক্ত আছি উল্লেখ করে আমার সম্মানহানি হয় এমন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে তারা। তিনিও মানহানির মামলা করবেন বলে জানান।
সম্প্রতি প্রায় তিন মিনিটের একটি অডিও রেকর্ডে প্রকাশিত হয় শান্ত কুমার দাস তালুকদারের বেপরোয়া চাঁদাবাজির মুঠোফোনের রেকর্ডি। সেখানে এক পিআইসির সভাপতি দুদফায় ৬ হাজার টাকা দিয়েছেন বিকাশে মাধ্যমে। আরো ১২ হাজার টাকা দিলে উক্ত পিআইসির বিরুদ্ধে কোনো লেখালেখি হবে না, এই আশ্বাস দিয়ে রফাদফা হয়।
জানা যায় ২০১৭ সালে দলিল লেখক থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সাংবাদকর্মী হিসেবে হাতেকড়ি শান্ত কুমার দাস তালুকদারের। পরে দৈনিক সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকায় নিয়োগ পেয়ে প্রিন্ট মিডিয়ায় তার কাজ শুরু। এরপর থেকেই শুরু হয় তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি।
গত বছর কালিকোটার ৪৭ নং পিআইসির সভাপতি সুধীর রঞ্জন সরকারের নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে হাওর বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা উপজেলা কমিটি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি উপজেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। একই বছর কৃষ্ণপুর থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আনার জ্বলন্ত স্বাক্ষী সাংবাদকর্মী দিলুয়ার হোসেন।
ওই বছরই সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকা তাকে বছরের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধির পুরস্কার দিয়ে তার চাঁদাবাজির অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করে। এনিয়ে উপজেলার সাংবাদিকদের মধ্যে নিন্দার ঝড় ওঠে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বিভিন্ন পিআইসির নিকট মোটা অঙ্ককের টাকা চাঁদা দাবি করে শান্ত দাস।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দৈনিক শাল্লার খবর ডটকমের নির্বাহী সম্পাদকের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে শাল্লার খবর ডটকমের পাসওয়ার্ড চুরি করে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে ধুর্ত প্রকৃতির লোক শান্ত দাস।
তাৎক্ষণিক এক জরুরি সভায় শাল্লার খবর ডটকমের প্রকাশক ও সম্পাদক বাদল চন্দ্র দাস ৬ ফেব্রুয়ারি শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অন্যদিকে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার শাল্লা প্রতিনিধি জিসি বিশ্বাস যতীনকে। পরে তিনিও থানায় জিডি করেন।
অন্যদিকে সাংবাদিক পরিচয়ে গত দুই বছরে চাঁদাবাজি করে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে একটি ভিটের মালিকও হয়ে গেছেন এই হলুদ সাংবাদিক। সাংবাদিক হওয়ায় তার স্ত্রী স্কুলে যায় না বলেও লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার পুটকা সপ্রাবি’র ম্যানেজিং কমিটিসহ গ্রামবাসী। তার এই অপকর্মে লজ্জিত শাল্লার স্থানীয় সাংবাদিকরা। তার এই অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় সত্যিকার নীতিবান, সৎ দক্ষ সাংবাদিকগন ।
Posted ৯:০৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৮ মার্চ ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad