হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অনুসারী কর্তৃক সুনামগঞ্জের শাল্লার বর্বরোচিত সংখ্যালঘু গ্রামে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করেন র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল এর নিজ গ্রাম নওয়াঁগাওয়ে তিনি হেলিকপ্টার যোগ আসেন ।
ঘটনা স্থলে পৌঁছেই র্যাব প্রধান ভাংচুর, লুটপাটকৃত ঘরবাড়ি দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের বিচার হবে মর্মে সান্ত্বনা দেন।
এ-সময় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক আল আমিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন সহ উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উনার সঙ্গে থাকেন।
পরে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তিনি প্রেস ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংয়ে র্যাব প্রধান বলেন, সংখ্যালঘু গ্রামে যে বা যারা হামলা ভাংচুর লুটপাট করেছে তাদের রেহাই নেই। এঘটনায় আমি খুবই লজ্জিত কারণ এখানেই আমার জন্মস্থান। আমাদের এখানে হিন্দু মুসলমান মিলে মিশে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন রয়েছে। এই সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কটুরহস্তে দমন করা হবে। নির্মম বর্বরোচিত সাম্প্রদায়িক হামলা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। এসময় উপস্থিত জনতা ঘটনার সঠিক বিচারের দাবীতে মিছিল করছিল।
এ ঘটনার সূত্রপাত হয় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ১৫ মার্চ দিরাই উপজেলায় এক জনসভা বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্য নিয়ে শাল্লার নওয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেস্টাস দেয়। সেই লিখাটিকে কেন্দ্র করে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ হেফাজত ইসলাম মামুনুল অনুসারীরা দল বেঁধে বুধবার সকালে সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে।
হামলায় ৮০ টি ঘরবাড়ি ৬টি মন্দির ভাংচুর সহ মালামাল টাকা পয়সা স্বর্নালকার লুটপাট করে নিয়ে যায় । হামলাকারীদের দল বেঁধে আসতে দেখে ইজ্জতের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ছিল নারী পুরুষ । এখনো অনেকেই ভয়ে বাড়ি ফিরেনি। তবে র্যাব প্রধানের আশ্বাসের পর নারী ও শিশু বাড়ি আসতে শুরু করেছে বলে জানা যায় ।
এবিয়য়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, বুধবারের হামলা ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধায় ২টি মামলা হয়েছে। পুলিশবাদী হয়ে ১টি অন্য ১ টি মামলা গ্রামবাসী করেছেন বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।
