সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা প্রশাসন আট মাস যাবত ৩ টি পাবলিক গণশৌচাগার বদ্ধ করে রেখেছে। ফলে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছে সদরে আগত লোকজন।
এনিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন সহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে যত্রতত্র মল-মূত্র ত্যাগ করছেন সদরে আসা লোকজন। প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে বাজারের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের সুবিধার জন্য ২০১৭ সালে ২টি গণশৌচাগার (টয়লেট) এবং ২০১৮ সালে ১টি গণশৌচাগার নির্মাণ ও এর নিকট টিউবওয়েল স্থাপন করে দেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এরপর থেকে ওই শৌচাগারগুলো ব্যবহার করে আসছে বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ। কিন্তু গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে উপজেলা সার্ভার স্টেশনে দুর্গন্ধ ছড়ায় এই অজুহাতে উপজেলা প্রশাসন গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে ওই ৩টি গণশৌচাগারে তালা ঝুলিয়ে দেয়। অদ্যাবধি গণশৌচাগারগুলিতে তালা ঝুলছে।ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার ব্যবসায়ী প্রমোদ রঞ্জন দাস, খেলু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন বলেন- বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করে হঠাৎ গণশৌচাগারটি বন্ধ করায় এবং বাজারে অন্য কোন গণশৌচাগার না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীসহ ক্রেতারা। বিশেষ করে বাজারে আগত মহিলারা প্রতিনিয়তই নাজুক অবস্থায় পড়তে হচ্ছে ।ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর সরকার পান্না জানান, শৌচাগার তিনটি চালুর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির তালা খুলে দেওয়া হবে আশ্বাস দেন।উপজেলা কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো নানা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও জনগুরুত্বপুর্ন এ কাজটি কেন আট মাস যাবত করছেন না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
Posted ১১:১৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad