শাল্লায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চলাচলের রাস্তাকে সরু করে দোকানকোঠা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, এটি ভুল হচ্ছে,কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির বলছেন দোকানকোঠা নির্মাণে সমস্যা হবেনা। এনিয়ে সদরে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বুধবার গিয়ে দেখা যায় কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন জায়গা উপজেলা পরিষদের, তাই পরিষদের অর্থে ২টি দোকানকোঠা নির্মাণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার তিনি নিজেই না কি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছেন ১২ ফুট রাস্তা রয়েছে। তাই তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করেনি। এশুনে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষব বিরাজ করছে। শুধু ব্যবসায়ীরাই নয় বাজারে আসা মানুষজন যারাই রাস্তার উপর দোকান তৈরির বিষয়ে বাজে শব্দ প্রয়োগ করছে। এনিয়ে শাল্লা সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন রাস্তা পরিষ্কার করে সুনাম করেছিলেন ইউএনও সাহেব। এখন সেই জায়গায় আবার স্থায়ী ঘর নির্মাণ লোকজন ভাল চোখে দেখছেনা।
তিনি বলেন এখানে কোনক্রমেই দোকান নির্মাণ সঠিক হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ দাস,জ্যোতিষ ভৌমিক, দুঃখসেন দাস,একরামুল হকসহ বাজারের অনেক ,ব্যবসায়ী বলেন প্রতিবাদ করে কি হবে, ইউএনও তো আমাদের কথা শুনেনা তিনি তার ইচ্ছামাফিক যা ইচ্ছা তাই করেন। তিনি ই রাস্তার টঙ্গ সড়িয়ে রাস্তা প্রসস্ত করেছিলেন এখন তিনিই আবার এ রাস্তায় স্থায়ী দোকান বানাচ্ছেন এ কাজটি সঠিক হয়নি বলে তারা জনসার্থে কাজটি বন্ধের দাবী জানান।
উলেখ্য:- শাল্লা উপজেলা সদরের সরকারি গোবিন্দ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, পোস্ট অফিস, বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, কৃষি ব্যাংক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত রাস্তা । সে দিক বিবেচনা না করে নির্বাহী অফিসার আল মুক্তাদির হোসেন বলছেন দেকানকোঠা নির্মাণ হলে কোনু অসুবিধা হবেনা। তিনি কেন সরকারি অর্থ ব্যয় করে জনসাধারণের সমস্যা সৃষ্টি করছেন এটিই চিন্তার বিষয় বলে মনে করছে সর্বস্তরের মানুষ।