সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই থেকে : হবিগঞ্জের লাখাইয়ে আকস্মিক ঘূর্ণি ঝড়ের তান্ডবে সম্পুর্ন ও আংশিক ধংস হয়েছে প্রায় অর্ধশত ঘর বাড়ী।এ যেন এক তান্ডবলীলা।সবাই যখন ঘুমে বিভোর তখনই হানা দেয় লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়।
কেউ বুঝে উঠার আগেই ঘূর্ণিঝড় তার প্রবল শক্তি দ্বারা লন্ডবন্ড করে দেয় অর্ধ শতাধিক ঘর বাড়ী সহ মূল্যবান আসবাবপত্র।এতে প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘরের লােকজন খােলা আকাশের নিছে ঠাঁই নিয়েছে।
সােমবার অনুমানিক ভোর ৫টার দিকে উপজেলার করাব ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামে ঝড়ের এই তান্ডব ঘটায়।স্থানীয় সুত্রে যানা যায়, রবিবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলেও ভোর রাতে আকস্মিক ভাবে ঝড় শুরু হয়।
পাঁচ থেকে দশ মিনিটের স্থায়ী ঝড়ে মূহুর্তের মধ্যে বেশকটি টিনসেট ঘর একবারে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠির সাথে মিশে গেছে। সেই সঙ্গে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয় তিন শতাধিক গাছপালা ।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় মানুষ যখন গৃহবন্দী তখনই ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ী হারিয়ে মানুষ দিশেহারা হয়েগেছে। অনেক পরিবার আছে যারা জীবীত থেকেও এখন মৃত।
সরেজমিনে দেখা যায় মনতৈল ইউনিয়ন অফিস সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ি গুলাে ঝড়ের তান্ডবে লন্ডবন্ড হয়েগেছে। ঝড়ে কারনে রক্ষিত ধান, চাল ও শিক্ষার্থীদের বইপত্র বিনষ্ট হয়ে পড়ে আছে সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খােলা আকাশের নিছে আশ্রয় নিয়েছে।
সংবাদ পেয়ে ঘনাস্থল পরিদর্শনে ছুটে আসেন লাখাই উপজেলার সুযোগ্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) সঞ্চিতা কর্মকার।তিনি বলেন, আংশিক এবং সম্পুর্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর সাথে কথা বলেছি এবং সরেজমিনে এসে দেখে গেছি, ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারন করে সেই সাথে আংশিক এবং সম্পূন ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলাের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে, তালিকা তৈরী শেষে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করবাে। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা পুর্বক সাহায্য দিব এবং সেটা বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষ।