মোঃ আব্দুর রকিব, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : তথ্য প্রযুক্তির রকেটে চড়ে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। প্রযুক্তির কল্যানে নতুন আবিষ্কৃত মানবসেবা পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের দোরগোড়ায়। সেই সাথে গ্রামাঞ্চলেও উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশে প্রযুক্তিগত আবিষ্কারের নতুন সেবা ভ্রাম্যমান ধান ভাঙ্গার কল দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে ভ্রাম্যমান ধান ভাঙ্গারকল বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ সেবা দিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ আধুনিক প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর প্রত্যন্ত অঞ্চলের গৃহস্থদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ধান ভাঙ্গানোর জন্য দূরের হাটবাজারে যেতে হয়না। লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলেও পড়তে হয় না তাদের। এছাড়া গ্রামের গৃহবধুরা ঢেকিতে ধান ভাঙ্গার মতো পরিশ্রমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
গ্রামের পথে ভটভট শব্দ করে গাড়ি যাওয়ার আওয়াজেই সবাই বুঝে যায় ধান ভাঙ্গার মেশিন ছুটে আসছে। এতে যার যার প্রয়োজন মতো বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধান ভাঙ্গিয়ে নেন। বাড়ি বাড়ি এসে ধান ভাঙ্গানোর এ কাজটির জন্য গৃহবধুরা মহাখুশি। ধান সিদ্ধ করে শুকানোর পর চাউল করার জন্য ঘরের পুরুষদের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে হয়না। ভ্রাম্যমান ধান ভাঙ্গানোর কল দিয়ে অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। গ্রামের বেকার যুবকরা নিজেদের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান ধান ভাঙ্গার মেশিন তৈরী করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙ্গার কাজটি করছেন। চাকুরি নামের সোনার হরিণের পিছনে নাঘুরে অল্প শিক্ষিত যুবকরা নিজেরাই এ কলকে পুঁজি করে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন।
একটি পাওয়ার ট্রিলার মেশিনের সাথে একটি হলার যোগ করে তৈরী করা হয় এ ধান ভাঙ্গানোর মেশিন। এতে খরচ হয় মোট ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এ পেশায় নিয়োজিত সুদিয়াখলা গ্রামের কাছম আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ধান ভাঙ্গানোর কল নিয়ে সারা দিন গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ৩০ থেকে ৪০ মন ধান ভাঙ্গানো যায়। এতে করে প্রতিদিন ৭৫০ থেকে ১০০০ টাকার মতো রোজগার হয়। দৈনিক খরচ বাদে কিছু টাকা সঞ্চয়ও করা যায়।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার বাগুনী পাড়া গ্রামের ধান ভাঙ্গানো কলের সেবা গ্রহনকারী কামাল হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমান ধান ভাঙ্গানোর কলের সেবা পেয়ে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। ধানের বস্তা বহন করে শহরে নিয়ে যেতে হয় না। বাড়িতে বসেই ধান ভাঙ্গানোর কাজটি করা যায়। এটা গ্রাম এলাকার সকলেরই অনেক সুবিধা বয়ে এনেছে
Posted ১১:০৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad