দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত রক্ষী বিজিবির বিরুদ্ধে বাজার ইজারাদারের হয়রানীর অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখত অভিযোগ করা হয়েছে।অভিযোগ করেছেন উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নের লিয়াকতগঞ্জ বাজারের ইজারাদার রোয়াব আলী।
তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন লিয়াকতগঞ্জ বাজারটি বিজিবি ক্যাম্পের থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সপ্তাহে দুই দিন এই বাজার বসে, বাজারে অন্যান্য তরি তরকারির পাশাপাশি গরুর হাটও বসে বাজারে। এই বাজারে বিশেষ করে গরুর হাট বসার কারণে প্রতি বছর চড়ামুল্যে ইজারা দেয়া হয়। আর গরু ব্যাবসায়ীগণ গরু নিয়ে বাজারে আসার আগেই বিজিবির হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এতে ইজারাদারের মোটা অংকের টোল আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর ব্যাবসায়ী সহ গরুর মালিকগণ বিজিবির আতঙ্কে বাজারে আসতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ১৪২৬ বাংলা সনের জন্য ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাজারটি ইজারা নেন বাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রামের রোয়াব আলী।
স্থানীয় বনগাঁও, আসাউরা ও মাঠ গাঁও ক্যাম্পের বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যগণ লিয়াকতগঞ্জ বাজারে ক্রয়কৃত গরু ব্যাবসায়ী হালন মিয়ার ১২ টি, জমির মিয়ার ৮ টি ও আমির হোসেনের ১২ টি মোট ৩২ টি গরু আটক করে। দোয়ারাবাজার উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে ধর্মপাশা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে সুনামগঞ্জ সদর থানার বল্লবপুর নামক স্থান থেকে নৌকা বোঝাই এই গরুগুলি আটক করে বনগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা।
পরবর্তীতে ২৬ নভেম্বর ২০ টি গরু বিজিবি কতৃক নিলাম দিলেও ১২ টি গরুর কোন তথ্য সরকারি হিসাবে দেয়া হয়নি। ৩২ টি গরু আটক করলেও সরকারী ভাবে দেখানো হয়েছে ২০ টি গরু বাকি ১২ টি গরুর কোন হদিস মিলেনি এখন পর্যন্ত ।বিজিবির এই তিনটি ক্যাম্পের কারণে ব্যবসায়ীরা বাজারে গরু নিয়া আসতে অনিহা প্রকাশ করায় ইজারাদার সহ স্থানীয় জনগনকেও বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বিজিবি কতৃক এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী অর্থবছরে লিয়াকতগঞ্জ বাজারটি কেউ ইজারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করবেনা। এতে করে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এব্যাপারে লিয়াকতগঞ্জ বাজার ইজারাদার মো. রোয়াব আলী বলেন, আমি সরকার থেকে লিয়াকতগঞ্জ বাজার ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছি। এই বাজার থেকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পাচ্ছে। অথচ বিজিবি সদস্যদের হয়রানির কারণে ব্যবসায়ীরা গরু নিয়া বাজারে আসছে। নিরুপায় হয়ে আমি, বনগাঁ, আসাউরা ও মাঠগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের হয়রানি থেকে মুক্তি পাবার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে মাটগাও ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নির্মল বলেন, আমরা ব্যাবসায়ী বা স্থানীয় গরুর মালিকদেরকে হয়রানি করছিনা। যাদের কাছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যের কাগজ পত্র থাকে তাদেরকে আমরা আটক করি না। যারা সীমান্তের চুরা কারবারের সাথে জড়িত তাদেরকে সীমান্ত এলাকায় পাওয়া গেলে তাদের গরুর কাগজ পত্র দেখানোর জন্য বলি। আমরা অহেতুক কাউকে হয়রাানি করিনা।