ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল হক, জেলা বিএনপির ত্রাণ ও পুর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী, আব্দুল হাই, গোলাম মোস্তফা, শরীফ উল্ল্যাহ, তমিজ উদ্দিন,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনফর আলী, সমাজসেবক আসকর আলী, কাবিল আহমেদ, মোশাইদ আলী, আইয়ুব আলী, আব্দুল মতিন, জয়নাল আবেদীন,আব্দুল কাদির,নুরুল হক,হুসেন আলী,মাহমুদ আলী,জমিরুল হক,আব্দুল করিম,মরম আলী,আক্কু মিয়া,নুর মিয়া,সফর আলী,হাবিবুর রহমান,নুরুল হক তালুকদার, হানিফ আলী,মনির মিয়া,ফরিদ মিয়া,মমিনুল হক,সফিক মিয়া,মোস্তফা কামাল,নুরুজ্জামান, ফাইজুদ্দিন, ওমর গনি প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, লক্ষীপুর ইউনিয়নের একমাত্র গােচর ভূমিতে কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বা গুচ্ছগ্রাম তৈরি করতে দেওয়া হবেনা, শতবর্ষের উচ্চকাল যাবৎ জেলা ও সাবেক সিলেট, বর্তমানে লক্ষীপুর ইউনিয়নের, মৌজা : লক্ষীপুর, জে.এল নং-৯৭, খতিয়ান -০১, দাগ নং-১৩১,১৩৪,১৩৬,১৩৮ ইহাতে মােট ভূমির পরিমানা ৭১.৭৬ একর। ১৯০ ভূমির পার্শ্ববর্তী গ্রাম বক্তারপুর, নােয়াপাড়া, লক্ষীপুর, জিবারগাও, রসরাই, খরা, মারপুশি, সুলতানপুর, কান্দাগাও, জিড়ারগাও, বহরগাও ও চকিরঘাট গ্রামের লােকজন তফসিল বর্ণিত ভূমিতে গরু ছাগল ও মহিষ চড়িয়ে আসছেন। এই গােচর ভূমি থাকায় লােকজনের গবাদি পশু লালন পালন করা
সহজতর হয়েছে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে উষ্ণতা বৃদ্ধি জনিত প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সরকার ইতিপূর্বে তফসিল বর্ণিত গোচর ভূমি ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্তের উদ্যোগ নিলেও এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুর রহিম, আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সিলেট সাব-জজ আদালতে স্বত্ব মােকদ্দমা ২০৯/১৯৭৪ ইং নং দায়ের করেন। যাহা বিগত ২৯/০৭/১৯৮১ ইং তারিখে মাননীয় আদালত কর্তৃক বাদী পক্ষের গােচর ভূমি হিসাবে ঘােষনা করা হয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ হয়।
জনস্বার্থে তফসিল বর্ণিত ভূমিতে সরকারী যে কোন উন্নয়ন কাজ না করার আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এই গোচরণ মাঠ দখল করে এলাকাবাসীর গোচরনের ক্ষতি করতে দেবেনা বলেও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।