দোয়ারাবাজারে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে গরু চুরি। বিশেষ করে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের গরু চুরি হ্ওয়ার ফলে অনেকটা নিঃশ্ব হয়ে গেছেন অনেকে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এরকম গরু চুরির প্রবনতা বেড়ে গেছে। গরু চোর চক্রের কাউকে আজ পর্যন্ত ধরা কিংবা চিহ্নিত করা যায়নি।
ইতিপুর্বে নৈনগাঁও গ্রামের আন্জব আলীর ৫টি, আব্দুস সহিদ বুতু মিয়ার ২ টি ,মহিন্দ্র দাসের ২ টি, সফিক মিয়ার ৩ টি, ফজু মিয়ার ২ টি, রজব আলীর ২ টি, (১ম বার) সাজিদ আলীর ২ টি, ২য় বার সাজিদ আলীর ২ টি সহ মোট ২০ টি গরু চুরি হয়েছে।
এ দিকে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গ্রামের সাজিদ আলীর গৃহপালিত দুইটি ষাড় চুরি হয়। গরু দুইটি চুরির পর শনিবার গভির রাতে ছাতক উপজেলার খাইরগাঁও গ্রামের পাশে সুরমা নদীতে নৌকায় উঠানোর সময় সাজিদ আলীর পুত্র মাওলানা রসিক আলী ও রসিক আলীর শশুর ছাতক উপজেলার খারুলগাঁও গ্রামের বিলাল মিয়াসহ আত্মীয়রা মিলে ধাওয়া করলে চোরেরা গরু দুইটা রেখে পালিয়ে যায়।
সাজিদ আলীর আত্মীয় স্বজন বলছেন, গ্রামের লোকজনের সহযোগীতা ছাড়া বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়নি। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী প্রকৃত চুরদের সনাক্ত করে এলাকাবাসীকে চুরের হাত থেকে রক্ষা করা হোক।
সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গ্রামের ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামে আরও গরু চুরি হয়েছে। চুরি হওয়ার পর একেকটা পরিবার নিঃশ্ব হয়ে পরে। এলাকায় গত তিন বছর দরে চুরি বেড়ে গেছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো.আবুল হাসেম বলেন, এব্যাপারে কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত হয়নি । অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক আইনানোগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Posted ১:২০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad