দোয়ারাবাজারে পোনা মাছ অবমুক্ত করণে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুরমা নদিতে এ পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।
বিগত বছরেরে টেন্ডরে অংশ নেয়া অনেকেই অভিযোগ করেন জানান, পোনা মাছ অবমুক্তকরণের জন্য কোন প্রকার টেন্ডার আহবান করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি ভর্মনের গোপন যোগসাজসে দোহালীয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ফজর আলীর নামে বাজার মুল্যের চাইতে চড়া মুল্যে ৩৪৫ টাকা দরে তার নামে বরাদ্ধটি দেয়া হয়।প্রত্যেক বছরের অংশগ্রহন কারী মাছ ব্যাবসায়ীরা কেউই জানেনা কোনদিন টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।
পোনা মাছের বদলে ছারা হয়েছে বড় মাছ, যা ওজনে পোনা মাছের সংখ্যায় কমছিল। এমনকি মাছের পোনা অধিকাংশ মরা ছিল এব্যারে মৎস্য কর্মকর্তা তার পক্ষ থেকে কোন প্রকার প্রতিবাদ করেন নাই। ১লক্ষ টাকার পোনা মাছ ২০৩ কেজি ও ১হাজার চিতল মাছের পোনা দেয়ার কথা থাকলেও দুই দাপে পোনা মাছ দেয়া হয় ১৮০ কেজি, আর চিতল মাছে পোনা ১হাজারের বদলে দেয়া হয়েছে মাত্র ৪/৫শত পোনা। চিতল মাছের পোনা গোনার কথা বললেও মৎস্য কর্মকর্তা তারাহোরো করে ছেরে দেন তিনি।
প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ করিম লিলু বলেন, “প্রতি বছর পোনা মাছ ছারা হয় এরকম মরা মাছ আর কোন বছর ছাড়া হয়নি। আর পোনা মাছের বদলে ছাড়া হয়েছে বড় মাছ এখানে পোনা মাছের পরিমান নাই বললেই চলে।
পুকুরে মাছ ব্যাবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, “আমি সহ এলাকার অনেক ব্যাবসায়ী টেন্ডারে অংশগ্রহন করি এবারের বরাদ্ধের টেন্ডার গোপনে দেয়া হয়েছে। আমরা কেউই জানিনা। আর বর্তমান বাজারে মাছের পোনার দর ২৫০ টাকা থেকে ২৭০ টাকা। মৎস্য কর্মকর্তা তিনি নিজেই অন্য লোকের নাম ব্যাবহার করে ব্যাবসা করছেন আর বেশি দামে তার নামে ৩৪৫ টাকা দরে দেন।”
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি ভর্মনের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
Posted ১১:২৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad