আলম সাব্বির (তাহিরপুর) সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মৃত মুক্তিযোদ্ধাকে বাবা উল্লেখ করে সম্মানী ভাতা উত্তোলন করছে তারই আপন ভাইয়ের মেয়ে। সম্প্রতি তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লেখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার অপর বড় ভাই মিয়া হোসেন।
অভিযোগে প্রকাশ মুক্তিযোদ্ধা নুর হোসেন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি তাহিরপুর উপজেলার চিসকা গ্রামের মনসুর আলী মেয়ে সাফিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের দেড় মাস পর নিঃসন্তান অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা নূর মিয়া মারা যান। পরির্বর্তীতে সাফিয়া বেগম দেবর(মুক্তিযোদ্ধা নূর মিয়ার ছোট ভাই)আবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর আবুল হোসেনও সাফিয়া বেগমের একাধিক সন্তান জন্মদেন। তাদের ২য় মেয়ে হালিমাকে নিঃসন্তান মৃত মুক্তিযোদ্বা নুর মিয়ার মেয়ে উল্লেখ করে ভুয়া কাগজ পত্র তৈরী করে ৪ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা উত্তোলন করছেন এবং এর মদদ দিচ্ছেন হালিমার বাবা (মুক্তিযোদ্ধা নুর মিয়ার ছোট) ভাই আবুল হোসেন ও তার মা সাফিয়া বেগম।
অনুসন্ধানে দেখা যায় হালিমা আক্তারের জাতীয় পরিচয় পত্রে পিতার নাম রয়েছে আবুল হোসেন। তার জন্ম তারিখ ১৯৮৭ সাল। আর আবুল হোসেন প্রথম সন্তান আকলিমা বেগমের জন্ম তারিখ ১৯৮৬ সালে সেখানে তার বাবার নাম আবুল হোসেন নাম লেখা রয়েছে। স্কুলের খাতায় আর জাতীয় পরিচয় পত্রে পিতার নাম আবুল হোসেন। শুধু এখানেই শেষ নয় হালিমার বিয়ের কাবিন নামায়ও পিতার নামের স্থলে আবুল হোসেনের নাম তাহলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা কিভাবে পাচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠছে বিভিন্ন মহলে। ।
এবিষয়ে অভিযোগকারী মুক্তিযোদদ্ধা নুর মিয়ার বড় ভাই অভিযোগকারী মিয়া হোসেন বলেন, আমি অভিযোগ দিয়েছি যাতে করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দানকারীরা মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না পায়। কারণ আমার ভাই মারা গেছে বিয়ের একমাস পর নিসন্তান অবস্থায়। এরপর তার বউ আমার ছোট ভাইয়ের কাছেই বিয়ে হয়। তাহলে কি ভাবে আবুলের ২য় মেয়ে হালিমা আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের সন্তান হয়। এই সন্তান আবুল হোসেনের সে ভূল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তুলে খাচ্ছে। এর বিচার হওয়া দরকার।
তাহিরপুর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিবাদীর আবেদনে ১মাসের সময় দেওয়া হয়েছে । কাগজ পত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে ডিএনএ টেষ্ট করা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হবার জন্য দুপক্ষকেই বলা হয়েছে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ৪:০০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad