জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে পিয়াইন ও সারীনদীর প্লাবনে জৈন্তাপুর উপজেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন ।
উপজেলা সদরের সাথে পানিবন্দি মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কৃষকের ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শ্রমিক ও অসহায় মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছে বিপাকে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইরি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।
আকস্মিক বন্যায় জৈন্তাপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নার মধ্যে নিজপাট ইউনিয়নের মাহুতহাটি, দর্জীহাটি, মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, মোরগাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মাস্তিং, হেলিরাই; জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মুক্তাপুর, বিরাইমারা, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, কাটাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১নং লক্ষ্মীপুর, ২নং লক্ষ্মীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, কাঠালবাড়ী, নলজুরী হাওর; চারিকাটা ইউনিয়নের বালিদাঁড়া, লালাখাল, লালাখালগ্রান্ট, রামপ্রসাদ, থুবাং সহ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে টানা বর্ষণে উপজেলার সারী এবং কাপনা নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন নদীতে বিপদসীমার কাছাকাছি পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক পরিবারগুলো।
পাহাড়ি ঢলের ফলে এই পরিবার গুলোতে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। কোনোভাবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করলেও আকস্মিক বন্যায় বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার কারণে তাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ঝড়হাওয়ায় জৈন্তাপুরে কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সীমান্তবর্তী তিনটি ইউনিয়নের পানিবন্দী পরিবার গুলোর মধ্যে শুকনো খাবার উপজেলা প্রশাসন থেকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা যায় । স্থানীয়রা জানান বৃষ্টি থামলে পানি কমে যাবে।
Posted ১:২৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad