আন্তর্জাতিক খবর : ‘মঙ্গল’ লাল এই গ্রহ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের অন্ত নেই। অনেকেই আবার সুযোগ পেলে মঙ্গলে জমিও কিনে রাখতে চান, ভবিষ্যতে যদি বসতবাড়ি তৈরি করা যায়। তবে এই মঙ্গল গ্রহ একসময় নাকি পৃথিবীর মতোই ছিল। আকৃতিতে তুলনামূলক ছোটো, সিক্ত, নীলাভ। প্রায় ৪ বিলিয়ন বছর আগে এই রকমই রূপ ছিল। এমনই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
শুধু তাই নয়, জানলে আপনি অবাক হবেন যে, আজকের এই লাল গ্রহে ৪.৪ বিলিয়ন বছর আগে জলের অস্তিত্বও ছিলো। আর যা নিয়ে আজও গবেষকদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পৃথিবীর তাবড় তাবড় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা মঙ্গলকে নিয়ে যতই কাটাছেঁড়া করতে শুরু করেছে ততই উঠে এসেছে নানান প্রশ্ন। অজানা কৌতূহল। মঙ্গলে জলের অস্তিত্ব ছিল এনিয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। কিন্তু কতটা জল ছিল মঙ্গলে?
এই বিষয়ে একটি প্রাচীন মার্টিয়ান উল্কাকে নিয়ে বিশ্লেষণ করার পরে জাপানের একদল গবেষক জানিয়েছেন যে, মঙ্গল গ্রহে আজ থেকে প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন বছর আগে জলের সন্ধান মিলেছিল।
তবে মঙ্গলে এই জল ঠিক কোথা থেকে এসেছিলো তা নিয়ে বিশদে বলতে গিয়ে জাপানী অধ্যাপক মিকোচি জানিয়েছেন যে, আজ থেকে ৪.৪ বিলিয়ন বছর আগে সাহারা মরুভূমিতে একজোড়া উল্কা আবিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের এনডব্লুএ ৭০৪০ এবং এনডব্লিউএ৭৫৩৩ নামে অভিহিত করা হয়েছিল।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, বহু বছর আগে এই উল্কাপাতের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগমা এবং মহাজাগতিক নানা বস্তুর সংঘর্ষে কঠিন শিলাখন্ড গুলি চাপ ও তাপের প্রভাবে গলে গিয়ে জলের সৃষ্টি করেছিলো। যদিও পৃথিবীর আগে মঙ্গলে কীভাবে জলের অস্তিত্ব পাওয়া গেলো সেই বিষয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি জাপানী গবেষক দল।
তিনও আরও বলেন, “আমাদের বিশ্লেষণে আরও বোঝা যায় যে, এ জাতীয় উল্কাপাতের ফলে প্রচুর হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদিত হত। যা মঙ্গল গ্রহে কার্বন-ডাই অক্সাইডের ঘন অন্তরক ছিলো যা সেই সময় মঙ্গল গ্রহের উষ্ণায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল।”
যদিও প্রাকৃতিক উপায়েও মঙ্গলে জলের সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে মঙ্গলে কীভাবে জল এলো এবং বছরের পর বছর কীভাবে এর আবহাওয়া ও মৃত্তিকার পরিবর্তন ঘটে চলেছে তা নিয়েও বিস্তর মতানৈক্য রয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
Posted ১:১৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০২ নভেম্বর ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad