জানাযায়, উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফতেহপুর গ্রামের মৃত সিতাব আলীর পুত্র লন্ডন প্রবাসী আতাউর রহমান সরকারী এ খালটি মাটি দিয়ে ভরাট করায় নৌচলাচল বন্ধ সহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
১২৭নং জেএল স্থল ফতেহপুর মৌজার ১নং খতিয়ানের অন্তর্ভূত ৩৬নং দাগের খালরকম ভূমি, বর্তমান রেকর্ডের মন্তব্য কলামে, স্থানীয় জনসাধারনের পানি নিস্কাসনের জন্য। নৌচলাচলের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও অর্থ ও প্রভাব প্রতিপত্তির কারন আইনের প্রতি তোয়াক্ষা না করে সম্পূর্ণ বে-আইনি ভাবে খালটি ভরাট করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
সরেজমিনকালে গ্রামের অনেকে ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, আতাউর রহমান এলাকার প্রভাবশালী লোক। যার ধন ও জনবল সবই অাছে। আতাউর রহমান লন্ডন থেকে দেশে এসে উপস্থিত থেকে সরকারী খাল ভরাট করেছেন। এসময় তার বিরুদ্ধে গ্রামের কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
সম্প্রতি গ্রামের লন্ডন প্রবাসী সুনারা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে জগন্নাথপুর থানার এসঅাই রাজিব অভিযোগটি তদন্ত করেন। পরে বাদী সুনারা বেগম সুষ্ঠু সমাধানের জন্য অবৈধ দখলবাজের হাত থেকে খালটি উদ্ধার করতে গত ১৮ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ এলাকাবাসীর পানি নিস্কাশনের একমাত্র খাল মাটি দিয়ে ভরাট করায় এলাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এবং জনগণের বাড়ি-ঘরে পানি উঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। যে কারনে সরকারী এ খালটি প্রবাসী ভূমি খেকুদের কবল থেকে উদ্ধার করে গ্রামের জনসাধারণের পানি ব্যবস্থা করে দিতে এলাকা বাসীর পক্ষে প্রবাসী সুনারা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দু’টি দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াসির আরফাত এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা দখলের দায়ে ২ জনের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকার সালিশ ব্যক্তিত্ব আব্দুল মনাফ, আব্দুল গফুর, চন্দন মিয়া, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী আখতার হোসেন জানান, মহামারি করোনা চলাবস্তায় জলাবদ্ধতা ও পানি বাহিত রোগ আমাদের জন্য মারাত্মক হুমকি। আমাদের এ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
খাল ভরাট সম্পর্কে সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউপি সদস্য আব্দুল আজিদ জানান, প্রবাসী আতাউর রহমান কর্তৃক সরকারী খাল ভরাটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রসাশনের চাপে খাল থেকে কিছু মাটি তুলা হয়েছে, সম্পুর্ন মাটি তুলা হয়নি।
বিগত ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এলাকার সালিশ ব্যক্তিত্ব আব্দুল মনাফ বলেন, জনস্বার্থে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অংশ হিসাবে ঐ স্থানে ড্রেনের মাধ্যমে পানি নিস্কাসনের প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
সরকারী খাল দখলকারি লন্ডন প্রবাসী আতাউর রহমানের সাথে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াসির আরফাত বলেন, সরকারি খালটি উচ্ছেদ এর কাজটি জেলাতে প্রক্রিয়াধীন, জেলা থেকে চিঠি পেলেই উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধার করা হবে।
Posted ১:৫৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad