গ্রীস সীমান্তে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ইমরানের মৃত্যুর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও দেশে এখনও লাশ পৌছায়নি। লাশের অপেক্ষায় গ্রামের বাড়ীতে স্বজনদের আহাজারি থামছে না। তবে নিহতের পরিবারের সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে ছোট ভাই জানান আগামী সপ্তাহে লাশ দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহটি গ্রীসের আলেকজান্দ্রোপলি মর্গে রয়েছে। নিহত যুবক ইমরান আহমদ চৌধুরী এবাদ গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের দক্ষিণবাঘা গ্রামের মৃত ইকবাল আহমদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি রেইনবো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জাষ্ট অর্ডারের পরিচালক ছিলেন। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ কমিউিনিটি ইন গ্রীসের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাহনুর রিপন জানান, সিলেটের ইমরান নামের যুবকের লাশ মর্গে রয়েছে। পাসপোর্টের ঠিকানায় উল্লেখ রয়েছে সে সিলেটর গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রায় ২ বছর পূর্বে দেশ ছাড়েন ব্যবসায়ী ইমরান আহমদ চৌধুরী এবাদ। তিনি চলতি বছরের কয়েক মাস পূর্বে অবৈধভাবে দালালদের মাধ্যমে দুবাই থেকে ইরান হয়ে তুর্কী পৌছোন। গত কয়েকমাস থেকে ইমরান নিখোজ ছিলেন। তার সন্ধান না পেয়ে তুর্কী থেকে গ্রীস পৌছে দেয়ার এজেন্সেীর লোকদের সাথে যোগাযোগ করেন নিহতের ভাই সলমান কিন্তু এজেন্সীর লোক ইমরান গ্রীসের কুমুদিনী ক্যাম্পে আছে বলে তাকে আশ্বস্থ করে। সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর ভাইয়ের সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন নিহতের ভাই সলমান। পরদিন বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন ইমরান ১৮ জুলাই তুর্কী থেকে গ্রীস যাওয়ার পথে গ্রীসের সীমান্তে ঢুকে অসুস্থ হয়ে মারা যান ইমরান। তবে ৫-৬দিন পূর্বে এক সিরিয়ান নাগরিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ইমরানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে মৃতদেহের সন্ধান দেয় । বর্তমানে নিহতের লাশটি গ্রীসের আলেকজান্দ্রোপলি মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই সাংবাদিক সলামান মুঠোফোনে জানান, লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
Posted ১:২০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad