মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নছরতপুর জামে মসজিদের ইমাম শফিউল ইসলামের উপর মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শুক্রবার বাদ জুম্মা মসজিদ প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নছরতপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, শফিউল ইসলাম দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তাদের মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। তার আচার-আচরন, চলাফেরা অত্যন্ত ভালো। ফলে গুটি কয়েক লোকের হিংসার কারণ হয়ে উঠেন তিনি। গত বছর তিনি হার্টএ্যাটাক করলে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সকলের সহযোগীতায় বুকে বাল্ভ সংযোজন করা হয়।
কিন্তু গত বুধবার (১৬ মে) মসজিদের মক্তব (কোরআন শিক্ষা) চলাকালীন সময়ে এ ছাত্রীকে শাসন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের গ্রামের আব্দুস সালাম কারো ইন্ধনে মসজিদ কমিটি ও এলাকার ব্যক্তিবর্গকে কোন কিছু অবগত না করেই কমলগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলার সাথে সাথেই কোন তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ইমামকে গ্রেপ্তার করে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে থানায় নিয়ে মৌলভীবাজার কোর্টে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানানো হয়। ইমাম শফিউল ইসলামের উপর মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে এ মামলার বাদীর ভাই শওকত আলী জানান, তিনি এ ঘটনার কিছুই জানেন না। তাকে না জানিয়েই এ মামলার স্বাক্ষী দেয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেফতার হওয়া মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলাম গত বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘শিশুটি মক্তবে পড়া না পারার কারণে তিনি তাকে কঠোর শাসন করেছিলেন। তাই তার নামে শিশুর পরিবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘থানায় করা মামলায় ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, পরবর্তী ব্যবস্থা আদালত গ্রহণ করবে।’
Posted ৮:৩৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad