আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি :- আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সরকারী ঔষধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেয়ায় গবাদি পশুর চিকিৎসা করেননি মাঠ কর্মি নিশিকান্ত দেবনাথ। এর প্রতিকার ছেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার শিবপাসা ইউনিয়নের মানরাজ মিয়ার পুত্র শেখ মোহাইমিন মিয়া।
জানাযায়, আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার নগর গ্রাম সংলগ্ন প্রাণী সম্পদ কার্যালয় অবস্থিত। প্রায় দুইলাখ জনসংখ্যা আধ্যুষিত উপজেলায় অধিকাংশই কৃষক। উপজেলাসহ পার্শ্ববর্ত্তি উপজেলা সমূহের কৃষকরা তাদের গবাধি পশুর নানান রোগ বালাই বা কত্রিম প্রজননের দেখা দিলে ওই অফিসে যায় অথবা মাঠ কর্মিরা সরেজমিনে গিয়ে গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা দেয়। এলাকার সাধারন কৃষকরা তাদের গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা নেয়ার বিনিময়ে ও সরকারী ঔষধ বাবত তাদেরকে টাকা গুনতে হয়। এছাড়া টাকা দিলে ব্যাগ ভর্তি করে ঔষধ দিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার শিবপাসা ইউনিয়নের শেখ মোহাইমিন মিয়া তার খামারে ৫টি স্ত্রী মহিষ ও ১ টি পুরুষ মহিষ করেছে। এই মহিষের রোগ বালাই থেকে রক্ষা করতে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করে কোন লাভ না হওয়ায় ওই অধিদপ্তরের মাঠ কর্মি নিশি কান্ত দেবনাথকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার খামারে নিয়ে গেলে সরকারী ঔষধের মূল্য বাবদ মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। কৃষক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মাঠকর্মি পশুর চিকিৎসা না দিয়েই ছলে আসে। পরবর্ত্তিতে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আঃ আউয়াল তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আঃ আউয়াল তালুকদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে উনার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মাঠ কর্মি নিশিকান্ত দেবনাথ বলেন, যে অভিযোগ করেছে সে জানে, তিনি কিছুই জানেন না।
Posted ৩:০৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad