মখলিছ মিয়া ॥ হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়াচং উপজেলার নাগুড়া কৃষি ফার্ম ও গবেষণাগারে স্থাপনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান।
২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ শহরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হবিগঞ্জ সফরে এসে লক্ষাধিক লোকের জনসভায় হবিগঞ্জ জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাঁচটি দাবী পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভাষণ দেন। হবিগঞ্জ শহরের অতি সন্নিকটে ১৯৩৪ সনে প্রতিষ্ঠিত নাগুড়া কৃষি ফার্ম ও গবেষণাগারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা সেদিন সভামঞ্চে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহায়তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তুলে ধরি। আমাদের যৌক্তিক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী দাবী বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন।
সভামঞ্চে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নাগুড়া ফার্মকে হাইলাইট করে বক্তব্য দেয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রীর বিদায়কালে হ্যালিপ্যাডে তখনকার জেলা প্রশাসককে উক্ত জায়গাটি বাছাই করার পরামর্শ দেয়ায় তখন থেকেই জনগন জেনে আসছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে নাগুড়া ফার্মে। গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হলে হবিগঞ্জ জেলায় আনন্দ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশিত হতে থাকে। কিন্তু ২/১ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য পাসকৃত আইনের ৩নং দফায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বিধান, স্থায়ী কমিটি কর্তৃক পরিবর্তন করে সংসদে উপস্থাপন ও পাশ হওয়ার সংবাদ প্রচার হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
আইনের ৩নং দফার বিষয়বস্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংসদে পাঠানো বিলে ছিল “হবিগঞ্জ জেলায়” হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। কিন্তু সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরিবর্তিত বিধান হল- “হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায়” কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবে। স্থায়ী কমিটি হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রেক্ষাপট, হবিগঞ্জ জেলার উপজেলা গুলোর অবস্থান ও ভূমি কৃষি-অকৃষি-খাস এবং সরকারী অর্থের সাশ্রয় ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত না হয়েই অনেকটা না জেনেই সংশ্লিষ্ট বিধানটি পরিবর্তন করেন।কিন্তু বিদ্যমান আইনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় কৃষি বিশ^ বিদ্যালয় কথাটি সংযুক্ত করে আইন পাশ করার কারনে বানিয়াচংয়ের ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউটের সবুজ চত্বর ও খাস জমি কাজে লাগানোর সুযোগ থাকছেনা।
ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউটের এরিয়ায় কৃষি বিশ^ বিদ্যালয় স্থাপন সহজতর হত এবং কম সময়ের মধ্যে বিশ^ বিদ্যালয় চালু করা যেত গবেষনাগারের অবকাঠামোগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে। বিকল্প স্থানে হলে ভূমি অধিগ্রহন ও প্রায় ২ থেকে ৩ শত একর ভূমি সহজলভ্য হবেনা বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি নাগুড়া কৃষি ফার্মে স্থাপনে আইনী জটিলতা দেখা দেয়। সুতরাং উপরোক্ত অবস্থার প্রেক্ষিতে সার্বিক বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, হাসিনা আক্তার, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা তজুমুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গনমাধ্যমকর্মীগন।
Posted ১১:২৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad