ছবি- ইন্টারনেট থেকে
হবিগঞ্জে বঙ্গবন্ধু
হবগিঞ্জে শেখ মুজবিুর রহমান প্রথম আসনে ৭০-এর নির্বাচনের র্পূবে । ৭০-এর নির্বাচনের প্রক্কালে যখন সলিটে এসছেলিনে, সলিটে থকেে যাবার পথে বভিন্নি স্থানে জনসভায় বক্ততা রাখনে। সেই সুবাদে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভার আযয়োজন করেছিল। বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেবেন খবরটি শুনেই মানুষের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করল। স্বচক্ষে এই নেতাকে দেখার সাধ ক্রমশ আবেগী করে তুলল। ততদিনে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পর শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় নেতা হিসেবে তাদের স্থান দখল করে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনার জন্য লাখো মানুষ জড়ো হয়। বঙ্গবন্ধু তখন বাঙালির হৃদযয়ের অলিন্দে মনের কুঠিরে এক অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁকে ঘিরে ততদিনে বাঙালি কৃষক, শ্রমিক,মেহনতী মানুষ আর যুবসমাজ নতুন এক স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রতিচ্ছবি হযয়ে উঠেছেন। রমজান মাস। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধু তখন সভাস্থলে আসতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু এলেন রাত ১০ টায়। হবিগঞ্জের ছোট তিন কামরার সার্কিট হাউসের দক্ষিনের রুমে বঙ্গবন্ধু শুয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আবার হবিগঞ্জ আসলেন ১৯৭৩ সালের প্রথমদিকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে। হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি সংলগ্ন পশ্চিমের আনসার ফিল্ড বা নিউফিল্ড নামক স্থানে এক ঐতিহাসিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সকাল ১১ টায় সভা আরম্ব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষনের পূর্বে জেনারেল ওসমানী সাহেব বক্তব্য পেশ করেছিলেন। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু আওয়াজে চারদিক মুখরিত। বঙ্গবন্ধু দুইহাত উপরে উঠিয়ে উত্তাল জনমসদ্রে সবাইকে অভিবাদন জ্ঞাপন করেন।
Posted ১০:০২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২১ আগস্ট ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad