মখলিছ মিয়া, বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ সোনার বাংলায় মুজিব বর্ষে, সমাজকল্যাণ এগিয়ে চলে’এই স্লোগানকে সামনে রেখে র্যালি, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বানিয়াচঙ্গে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুন খন্দকার।
সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আহাদ মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, ওয়ারিশ উদ্দিন খান, মোঃ রেখাছ মিয়া, মোঃ এরশাদ আলী, উপজেলা দূনীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিপূল ভূষন রায়, মাওলানা আতাউর রহমান, মানবজমিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মখলিছ মিয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মোঃ মামুন খন্দকার বলেন, সমাজের অসহায় মানুষ যেন তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সমাজের বয়স্ক ব্যক্তিরা এখন আর সমাজের বোঝা নয়, সরকার তাদের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছে, সব ধরনের ভাতা সরাসরি উপকারভোগীর মোবাইলে চলে যাচ্ছে, ভাতার টাকা এসেছে কিনা তার জন্য এখন আর সমাজসেবা অফিস অথবা জনপ্রতিনিধির কাছে যেতে হবে না, মোবাইল ম্যাসেজ এর মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুগ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। এদেশে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না। সরকার তাদের গৃহ নির্মাণ করে দেবে। তিনি বলেন, অনেকেই অটিজম বা প্রতিবন্ধী শিশুদের সমাজের বোঝা মনে করেন। মান সন্মানের ভয়ে তাদেরকে লোক চক্ষুর অন্তরালে রাখতে বেশি পছন্দ করেন। এবিষয়ে তিনি বলেন, অটিজম বা প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। পরিবারের যত্ন, ভালবাসা, সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেলে তারাও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এবিষয়ে তিনি সমাজসেবা বিভাগকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইতিমধ্যে বানিয়াচং সমাজসেবা কার্যালয় এ লক্ষ্যে সকল ভাতাভোগীর ডাটা তৈরীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, কিছু দিনের মধ্যে একাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এ বিষয়ে সাংবাদিকসহ সবাইকে অবহিত করা হবে। একাজ শেষ হওয়ার পর বুঝা যাবে প্রকৃত ভাতাভোগী তার টাকাগুলো ঠিকমত পাচ্ছে কি না। কোন অসহায় মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কেউ যদি ফায়দা হাসিল এর চেষ্টা করে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠিনতম আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে নূন্যতম ছাড় দেয়া হবে না। শেষে একই পরিবারের অসহায় দুই প্রতিবন্ধীর হাতে ভাতার কার্ড তুলেদেন ইউএনও মামুন খন্দকারসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
Posted ২:৪১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad