মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে হরিণের মাথা ও মাংস জব্দ করেছে বন বিভাগ। এ ঘটনায় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে হরিণ শিকারীর সাথে বিষয়টি মিটমাট করার অভিযোগ উঠেছে এক বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা। শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে কাঠুরিয়া বিফল বড়াইক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
কাঠুরিয়া বিফল বড়াইক সূত্রে জানা যায়, ওইদিন তিনি হরিণটিকে উদ্যানে আধমরা অবস্থায় পেয়ে বাড়িতে নিয়ে জবাই করেন। তবে ওইদিনই রাতে বন বিভাগের লোকজন এসে হরিণের মাংস ও মাথা নিয়ে যান। কাঠুরিয়া বিফল এ ব্যাপারে মামলা দায়ের না করার জন্য তাদেরকে ২০ হাজার টাকাও দিয়েছেন বলেও জানান।
একটি সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতছড়ি উদ্যান এলাকার রামগঙ্গা চা বাগানের কাঠুরিয়া বিফল বড়াইকসহ কয়েকজন মিলে মায়া হরিণের মাংস ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। এ খবর পেয়ে সাতছড়ি রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা সামসুদ্দিন রুমিসহ বন কর্মীরা কাঠুরিয়া বিফলের বাড়িতে গিয়ে সেখান থেকে একটি মায়া হরিণের মাথা ও সাত কেজি মাংস জব্দ করেন।এসময় কাউকে আটক করা যায়নি।
হবিগঞ্জ বনবিভাগের তেলমাছড়া বিট কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, হরিণের মাথা ও মাংস উদ্ধারের পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে তা পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। মাংস জব্দের পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগটিও তিনি জানতে পেরেছেন। এদিকে, ২০ হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত কর্মকর্তা সামসুদ্দিন রুমি জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। ঢাকায় হরিণের মাংসের নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট আসলে জানা যাবে হরিণটি কিভাবে মারা গেল।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতছড়ি সহ-ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভাপতি সত্যজিত রায় দাশ জানান, তিনি এ বিষয়ে কোন কিছু জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Posted ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৯ আগস্ট ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad