সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ থেকে : বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপনের লক্ষে সনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উদ্যোগে জেলা প্রর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে সোমবার। “নারী পুরুষের সমতা, রুখতে পারে সহিংসত” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে দশ ঘটিকায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হবে। র্যালিটি জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এসে শেষ হবে। সকাল এগারোটায় শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা এবং সাড়ে এগারোটায় শেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্।সিলেট-সুনামগঞ্জ আসনের মহিলা সংষদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করবেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিখ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের আমন্ত্রন পত্র থেকে জানা যায়।
সুনামগঞ্জ জেলায় সফল জননী ক্যাটাগরিতে জয়ীতা মনোনীত হয়েছেন জেলার দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের লক্ষী রানী দাস।
উনার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। তারা নিজ যোগ্যতায় এবং কাকিমার প্রচেষ্ঠার আজ প্রতিষ্টিত। বড় মেয়ে ঊষা রানী সরকার, একজন সুপ্রতিষ্ঠিত গৃহিণী। ভিটেমাটি-হীণ অজ পাড়া গাঁয়ে থেকে প্রতিটি সন্তানকে শিক্ষার আলো দেখিয়েছে। স্বামীহারা হওয়ার পরও স্ব-উদ্যোগে সংসারের উন্নতি সাধন পূর্বক সুনামগঞ্জ পৌর শহরে নিজের বাড়িতে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছে। বড় ছেলে; নৃপেন্দ্র কুমার দাস, গ্রামের একমাত্র সেনাবাহিনী চাকুরীজীবী, অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ছেলেবৌ; শংকরী মন্ডল, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। মেজো ছেলে: উদ্ধব কুমার দাস, খাদিম শিল্পনগরী সিলেটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ছেলেবৌ; শিখা রানী দাস, সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। ছোট মেয়ে; পুষ্প রানী রায়, ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সে মধুপুর গ্রামের প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রী পাস এবং একমাত্র সরকারি শিক্ষক। বিএ, এমএ, ঢাকা টিটিসি থেকে বি.এড (১ম শ্রেণী) ও এমএড (১ম শ্রেণী) । প্রধান শিক্ষক, চামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ি। মেয়েজামাই; শান্তি রাম বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা। ছোট ছেলে; ডাঃ স্বাধীন কুমার দাস, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু গ্রামের পাশের অস্থায়ি মাদ্রাসায়। ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস, ২৪ তম বিসিএস, বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে কর্মরত, এম.এস. জেনারেল সার্জারী থিসিস পর্বে অধ্যয়নরত। সে মধুপুর গ্রামের একমাত্র এম.বি.বি.এস ডাক্তার। ছেলেবৌ; এডভোকেট রিপা সিনহা, বি.এস.এস. (অনার্স), এম.এস.এস, এল.এল.বি, এল.এল. এম.। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জজ কোর্টের সুপরিচিত, স্বনামধন্য, বিজ্ঞ আইনজীবী। সহসভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ, সুনামগঞ্জজ জেলা এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দিরাই উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
Posted ১:০৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad