সরেজমিন দেখা গেছে, উচ্ছেদ অভিযানে রেলের ২৮৭ শতক জমির উপর বিভিন্ন স্থাপনা সম্পূর্ণ গুড়িয়ে রেলের এসব সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়। এসময় ভানুগাছ সড়কের উত্তর-পূর্ব দিক এক প্রকার ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এর আগে সকালে শহরের এই অংশের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদকালে দ্রুত মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। ভ্যান রিক্সা ট্রাকযোগে মালামাল সড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোড সংলগ্ন রূপশপুর মৌজায় জেএল নং ৬৭, খতিয়ান নং-৩, এসএ দাগ-১৭৬১’এ ২৮৭ শতক ভূমি রয়েছে। গত ৩৮ বছর ধরে অবৈধ দখলে ছিল রেলের শতকোটি টাকার ভুমি। এর আগে কয়েকদফা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও উদ্ধার করা যায়নি ভূমি। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একাংশের নাম ভাঙ্গিয়ে এক শ্রেণীর দখলদার শহরের গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক এলাকায় ‘কৃষি নার্সারী প্রকল্প’র নামে ১৩৫ শতক ভূমি দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। সূত্র মতে, এই ১৫২ শতক ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। এতে সরকার এখাত থেকে বছরে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, এখানে সাধারণ ব্যবসায়ীরা দোকানকোটা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেছে। এই ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে টাকা লোন নিয়ে ব্যবসা করতেছে। তারা এখন যাবে কোথায়। হঠাৎ করে এ উচ্ছেদ করার ফলে ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছে।
উচ্ছেদ অভিযানের ব্যাপারে রেলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে রেলের এই ভূমি উদ্ধার করে রাস্তা প্রসস্থ করা ও বাকি ভূমি লিজের আওতায় আনা হবে। ২০১৬ সালের ব্যর্থ উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে অতীতের অনেক ঘটনা আছে, আজকের এই উচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা কলঙ্কমুক্ত হতে পারবো।
Posted ৫:৪৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad