মোঃ আব্দুর রকিব, হবিগঞ্জ থেকে:
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি বৃটিশ আমল থেকেই অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছে। বছর কয়েক পূর্বে স্টেশনটি আধুনিক রূপে পুনর্র্নিমাণ করা হয়। এতে করে এ স্টেশনের সৌর্ন্দয বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিসর বৃদ্ধি ও যাত্রীরা আধুনিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। স্টেশনের পেছনের অংশে ট্রেন যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সুপরিসর একটি গাড়ি পার্কিং এলাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেট বিভাগ বিষয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করেন। রেলওয়ের অর্থনৈতিক স্বার্থে স্টেট বিভাগ উলেখিত পার্কিংটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইজারা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইজারাদার যথাযথ নিয়ম কানুন না মেনে স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণের মাধ্যমে ইজারা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
করাঙ্গী নিউজ-২৪ এর সম্পাদক “সিদ্দিকুর রহমান মাসুম” ক্ষোভের সাথে জানান, ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে উনার আত্মীয়কে আনতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যান। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে গাড়ি পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করা মাত্রই পার্কিং ইজারাদারের লোকজন তাকে ঘিরে ধরেন। উনাকে বলা হয় রেল পার্কিং তারা ইজারা নিয়েছে এখানে প্রবেশ করলেই ৫০ টাকা টোল দিতে হবে। “সিদ্দিকুর রহমান মাসুম” তাদেরকে জানালেন যে, তিনি তার গাড়ি পার্কিং করেননি, চলমান অবস্থায় তার আত্মীয়কে তুলেছেন। তারপরও ইজারাদারের লোকজন বেপরোয়া কায়দায় কথাবার্তা বলতে শুরু করে। সিদ্দিকুর রহমান মাসুম তার মান সম্মান হারানোর ভয়ে রশিদ গ্রহন করে ৫০ টাকা পরিশোধ করেন।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে পাহাড়িকা ট্রেনে আগত জুনাইদ চৌধুরী নামে জনৈক যাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, তিনি স্টেশনে নামার পর তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য একটি টমটম (ব্যাটারি চালিত) ভাড়া করেন। তিনি ওই টমটম নিয়ে পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করা মাত্রই ইজারাদারের লোকজন টমটম চালকের কাছে ১০ টাকা টোল দাবি করে। ওই যাত্রী টোল আদায়কারীকে জানান যে, এই পার্কিংয়ের টোল যাত্রীরা দেবে কেন? যারা এই পার্কিয়ে গাড়ি রেখে ব্যবসা করছেন তারা দেবে। প্রথমে টোল প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরে তিনি কথাকাটাকাটি না করে রশিদ গ্রহণের মাধ্যমে ১০ টাকা টোল প্রদান করেন। রেলওয়ের ইজারা প্রদান সর্ত অনুযায়ী যাত্রী থেকে টোল আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনের মাস্টার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট রেল পার্কিং ইজারা দেয়া ও তদারকি করা রেলওয়ে স্টেট বিভাগের দায়িত্ব। এ বিষয়টি ওনার এখতিয়ার বহির্ভূত। তিনি আরো জানান, তবে যাত্রীদের থেকে টোল আদায় করা নীতিমালা পরিপন্থি ও বে-আইনি। যাত্রী সাধারণ মনে করেন, এ বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি প্রয়োজন। পাশাপাশি, এ বিষয়টির প্রতি রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ ও জরুরী। অন্যথায় টোল নিয়ে যাত্রী ও পার্কিং ইজারাদারের লোকজনের মাঝে সৃষ্ঠ বাকবিতন্ডা অপ্রিতিকর পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।
Posted ৪:০৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২০
Sylheter Janapad | Sylheter Janapad